সাড়ে ২৮ ঘণ্টা পর কমলগঞ্জে আংশিক বিদ্যুৎ সরবরাহ

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় সাড়ে ২৮ ঘণ্টা পর আংশিক বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে। গতকাল রোববার সকালে কালবৈশাখীর আঘাতে উপজেলার বিদ্যুৎ সঞ্চালনব্যবস্থা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঝড়ে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়, উপড়ে পড়ে গাছ।

ঝড়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালনব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হলে গতকাল সকাল সাড়ে নয়টা থেকে আজ সোমবার বেলা দুইটা পর্যন্ত কমলগঞ্জ উপজেলা ছিল বিদ্যুৎবিহীন। ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎ লাইন মেরামত করে সাড়ে ২৮ ঘণ্টা পর আজ বেলা দুইটার দিকে কমলগঞ্জে আংশিক বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করা হয়।

টানা বৃষ্টি আর ঝোড়ো বাতাসের কারণে বিদ্যুৎ–কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎ লাইনের মেরামতকাজ করতে পারছিলেন না। আজ সকাল থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হলে বিদ্যুৎ–কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত লাইন মেরামত কাজ শুরু করেন। বেলা দুইটায় কমলগঞ্জ উপজেলা সদর, শমশেরনগরসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি স্থানে আংশিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হয়।

মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কমলগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. মোবারক হোসেন সরকার জানান, ঝড়ের কারণে বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে যায়। খুঁটি থেকে ট্রান্সফরমার পড়ে যায়। বিভিন্ন স্থানে গাছ উপড়ে পড়েও বিদ্যুৎ সরবরাহের বেশ ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় মেরামতকাজ শেষে বেলা দেড়টায় আংশিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হয়। পর্যায়ক্রমে পুরো উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।

আজ সকালে বিদ্যুৎহীন অবস্থায় কমলগঞ্জে ২০১৯ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়। আবহাওয়ার আবারও অবনতির আশঙ্কায় এ সময় অনেক পরীক্ষার্থীকে সঙ্গে চার্জার বাতি নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসতে দেখা যায়।
কমলগঞ্জ সরকারি গণমহাবিদ্যালয়ের কেন্দ্রসচিব অধ্যক্ষ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান মিঞা বলেন, পরীক্ষা চলাকালীন কক্ষে আলোর স্বল্পতা হলে সেখানে চার্জারসহ নিজস্ব উদ্যোগে আলোর বিকল্প ব্যবস্থা রাখা ছিল।

কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক বলেন, টানা ২৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকায় সরকারি, বেসরকারি অফিস কোথাও স্বাভাবিক কাজ করা যায়নি।