মুন্সিগঞ্জে আ.লীগ ৪, বিদ্রোহী ২

উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের চতুর্থ ধাপের ভোটে মুন্সিগঞ্জের ছয় উপজেলার চারটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবং দুটিতে জিতেছেন বিদ্রোহীরা। গতকাল রোববার এই ভোট গ্রহণ করা হয়।

নির্বাচনে টঙ্গিবাড়ী ও শ্রীনগর উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন। বাকি চারটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জিতেছেন।

চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন টঙ্গিবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জগলুল হালদার। তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে ৪২ হাজার ২৫৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার কাজী ওয়াহিদ নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ২৯ হাজার ২৬৮ ভোট।

শ্রীনগর উপজেলায় ৩৪ হাজার ৮৩৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীকের মসিউর রহমান। তিনি জেলা যুবলীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. জাকির হোসেন দোয়াত-কলম নিয়ে ৩১ হাজার ৯১৪ ভোট পেয়েছেন। এ উপজেলায় নৌকা–সমর্থিত প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পান ১৪ হাজার ৮৭০ ভোট।

টঙ্গিবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজ আল আসাদ প্রথম আলোকে বলেন, নৌকার প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার কাজী ওয়াহিদ প্রচার-প্রচারণায় সময়টা একটু কম পেয়েছেন, যে কারণে অনেকটা পিছিয়ে গেছেন। আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নৌকার জনপ্রিয়তা নেই—এমনটা বোঝাতে বিএনপির জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা আনারসের পক্ষ কাজ করেছেন। বিএনপির ভোটগুলোও আনারসকে দিয়েছে।

সদর উপজেলার সব কটি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকের আনিছ উজ্জামান ৪৬ হাজার ৯৯৬ ভোট পেয়ে জয় লাভ করেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪২ হাজার ১৭৪ ভোট।

লৌহজং উপজেলায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ওসমান গনি তালুকদার ২৪ হাজার ৫৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের প্রার্থী ফকির আবু মো. ফয়সাল পেয়েছেন ১৯ হাজার ৮৮৩ ভোট।

সিরাজদিখান উপজেলায় ৮৬ হাজার ৩৬৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন নৌকার প্রার্থী মহিউদ্দিন আহম্মেদ। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আসাদুজ্জামান কুলা প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৪৭৭ ভোট।

গজারিয়ার উপজেলায় ৫৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫২টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। ভোট বাক্স চুরির অভিযোগে তিনটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। নৌকা প্রতীকের আমিরুল ইসলাম ৪২ হাজার ৩৮৮ ভোট পেয়ে জয়ের পথে আছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রফিকউল্লাহ সেলিম কাপ–পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ১০ হাজার ২৯৪ ভোট।