গাড়িতে করে মুঠোফোনের টাওয়ারের যন্ত্র চুরি করত ওরা

যন্ত্রাংশ চুরির চেষ্টার দায়ে আটক পাঁচ ব্যক্তি। ছবি: প্রথম আলো
যন্ত্রাংশ চুরির চেষ্টার দায়ে আটক পাঁচ ব্যক্তি। ছবি: প্রথম আলো

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় মুঠোফোন কোম্পানির টাওয়ারের যন্ত্রাংশ চুরির চেষ্টার সময় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি ডাবল ডেকার পিকআপ ও অন্য যন্ত্রাংশ জব্দ করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচজন আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্য বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি উপজেলার রাজীব মোল্লা (২৮), লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার এ বি এম জাকারিয়া ভূঁইয়া ওরফে রাকিব (৪০), রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার হারুন অর-রশিদ ওরফে দুলাল (৩৫) ও তাঁর ছোট ভাই দিল পিয়ার হোসেন ওরফে বাবু (৩০) এবং বরিশালের কাজীর হাট উপজেলার মেহেদী হাসান (৩২)।

গতকাল রোববার রাতে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় জেলা পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকি সাংবাদিকদের বলেন, গোয়ালন্দের দৌলতদিয়ার সোহরাব মণ্ডলপাড়ায় গ্রামীণফোন টাওয়ারের কাছে একটি নীল রঙের ডাবল ডেকার পিকআপ ও একটি মাইক্রোবাস নিয়ে কয়েকজন ঘোরাঘুরি করছেন, এমন খবর পেয়ে শনিবার দিবাগত রাতে পুলিশ সদস্যরা সেখানে ওত পেতে থাকেন। দুটি গাড়িতেই গ্রামীণফোনের স্টিকার লাগানো ছিল। ভোররাতের দিকে পুলিশ দেখতে পায়, কয়েকজন লোক গ্রামীণফোনের টাওয়ারের গ্রিলের তালা ভাঙার চেষ্টা করছেন। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তাঁরা পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় মাইক্রোবাসসহ কয়েকজন পালিয়ে গেলেও পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা স্বীকার করেন, তাঁরা আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্য এবং দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা সংঘবদ্ধ হয়ে বিভিন্ন মুঠোফোন কোম্পানির টাওয়ারের যন্ত্রাংশ চুরি করে বিক্রি করতেন।

গ্রেপ্তার হারুন অর-রশিদ ওরফে দুলাল মিয়া সাংবাদিকদের জানান, তিন মাস আগে মাসিক ৩৫ হাজার টাকায় গাড়িটি ঢাকার এক ব্যক্তির কাছে থেকে ভাড়া করেন তাঁরা। বিভিন্ন পোশাক কারখানার কাপড় পাইকারি দরে কিনে বিক্রি করবেন বলে চুক্তি করা হয়। কিন্তু মূলত এসব কাজে ব্যবহারের জন্য গাড়িটি ভাড়া করেন তাঁরা।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এজজা শফী জানান, তাঁরা সংঘবদ্ধ হয়ে বিভিন্ন মুঠোফোন কোম্পানির টাওয়ার থেকে মূল্যবান যন্ত্রাংশ চুরি করতেন। কেউ যাতে বুঝতে না পারে এ জন্য মুঠোফোনের গাড়ির মতো দেখতে স্টিকার ব্যবহার করতেন। তাঁদের নামে নেত্রকোনার পূর্বধলা থানায় এ ধরনের মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় রোববার রাতেই তাঁদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের শেষে আজ রাজবাড়ীর মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে পাঠানো হয়েছে।