মশার উপদ্রব থেকে রক্ষা পেতে মানববন্ধন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ। মশার কারণে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, সূর্য হেলে পড়লেই শুরু হয় মশার উপদ্রব। এক জায়গায় স্থির হয়ে থাকার উপায় থাকে না। ক্যাম্পাসের সর্বত্র ঝাঁক বেঁধে মশা উড়ে বেড়ায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কার্যালয় সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছোট-বড় মিলিয়ে ২৪টি জলাশয় আছে। প্রতিবছর শীত আসার আগেই সেগুলো পরিষ্কার করা হয়। কিন্তু এ বছর বেশির ভাগ জলাশয় পরিষ্কার করা হয়নি। ময়লা-আবর্জনার স্তূপ জমেছে জলাশয়গুলোতে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬টি আবাসিক হল, একাডেমিক ভবন ও বিভিন্ন স্থানের ভাসমান খাবার দোকানগুলোর পাশে ময়লা-আবর্জনা জমে গেছে। দীর্ঘদিন সেগুলো পরিষ্কার করা হয় না। বটতলার দোকানগুলোর উচ্ছিষ্ট খাবার বটতলার পাশেই ফেলা হয়। বিভিন্ন স্থানে ঝোপঝাড়গুলো নিয়মিত পরিষ্কারের ব্যবস্থা নেই। এতে দ্রুত বংশবিস্তারের সুযোগ পাচ্ছে মশা।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক কবিরুল বাশার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আবহাওয়া পরিবর্তনের একটা প্রভাবের কারণে মশা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর মশার সংখ্যা অনেক বেশি। এটা নিয়ন্ত্রণ করা দরকার।’ তিনি আরও বলেন, ‘মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি তিন দিন পরপর ফগার মেশিন দিয়ে মশা মারার ওষুধ ছিটাতে হবে। যেসব জলাশয়ে মশা বংশবিস্তার করে, সেসব জলাশয়ে নিয়মিত ওষুধ ছিটাতে হবে।’

উপদ্রব থেকে রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন

মশার উপদ্রব থেকে রক্ষার দাবিতে গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন হয়েছে। ছাত্র ইউনিয়নের বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ এই মানববন্ধনের আয়োজন করে। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা ‘মশা মারতে কামান দাগাও’, ‘মশার শাসন থেকে মুক্তি চাই’, ‘মশা নিধনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করো’, ‘মশায় জীবন যায়, প্রশাসন কী চায়’, ‘মশার উপদ্রব নিরসন চাই’ লেখা প্ল্যাকার্ড বহন করেন।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, দু-একবার ফগার মেশিন দিয়ে ওষুধ ছিটানো ছাড়া আর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এতে মশার উপদ্রব দিন দিন বেড়েই চলেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) আমির হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেট শাখাকে বলা হয়েছে।