রাজারহাটে শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি মামলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কারাগারে

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষককে শিক্ষার্থী যৌন হয়রানির মামলায় কারাগারের পাঠানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম তৌফিকুর রহমান (৪৫)। তিনি উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

পুলিশ ও মামলা দেওয়া শিক্ষার্থীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ মার্চ দুপুরে কোনো শিক্ষার্থী না থাকার সুযোগে চতুর্থ শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীকে (১১) শ্রেণিকক্ষে যৌন হয়রানি করেন শিক্ষক তৌফিকুর রহমান। অভিযোগে বলা হয়, তৌফিক এর আগে আরও চার শিক্ষার্থীর সঙ্গে একই আচরণ করেছিলেন।

মামলা দেওয়া শিক্ষার্থীর পরিবার জানায়, বাড়ি ফিরে ১৬ মার্চের ঘটনাটি ওই শিক্ষার্থী তাঁর পরিবারের সদস্যদের জানায়। এরপর অন্য অভিভাবকেরা মিলে যৌন হয়রানির বিষয়গুলো প্রথমে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির সদস্যদের জানান। তাঁদের অভিযোগ, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ওই ঘটনার বিচার না পেয়ে অভিভাবকেরা পরবর্তী সময়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবিহিত করেন। কিন্তু সেখানেও তদন্তের নামে দীর্ঘসূত্রতা হচ্ছিল। এ কারণে গতকাল সোমবার ওই শিক্ষার্থীর বাবা রাজারহাট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তৌফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, ‘গত ২৫ তারিখ পাঁচ শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির বিষয়ে অভিভাবক ও এলাকাবাসী লিখিত অভিযোগ করেন। তদন্ত কমিটি করি। মঙ্গলবার (২ মার্চ) বেলা ১১টায় তদন্ত হওয়ার কথা ছিল। মামলা হওয়ায় তদন্ত হয়নি।’

এ ব্যাপারে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

রাজারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃষ্ণ কুমার সরকার বলেন, তৌফিকুর রহমান তাঁর অপরাধ স্বীকার করেছেন। আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।