ছাড়পত্র চাওয়ায় শিক্ষার্থীকে পেটালেন প্রধান শিক্ষক

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থী রাশিদুল। সিংড়া, নাটোর। ছবি: প্রথম আলো
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থী রাশিদুল। সিংড়া, নাটোর। ছবি: প্রথম আলো

ছাড়পত্র চাওয়ায় নাটোরের সিংড়া উপজেলার একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এক শিক্ষার্থীকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার সকালে উপজেলার কতুয়াবাড়ী উচ্চবিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে। বর্তমানে ওই শিক্ষার্থী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

ওই শিক্ষার্থীর নাম নাম মো. রাশিদুল। তাঁর বাবার নাম কুরবান আলী। সিংড়া পৌর শহরেই তাদের বাসা।

ওই শিক্ষার্থীর পরিবারের দাবি, রাশিদুল কতুয়াবাড়ী উচ্চবিদ্যালয়ে থেকে জেএসসি পাস করে দমদমা পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হয়। ভর্তির তিন মাস পর গতকাল সে বিদ্যালয়ে ছাড়পত্র নিতে যায়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শারদুল ইসলামের কাছে ছাড়পত্র চাইলে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রথমে তিনি রাশিদুলের গালে থাপ্পড় মারেন এবং পরে লাঠি দিয়ে পেটান।

এ সময় রাশিদুলকে উদ্দেশ করে প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘তুই অন্য স্কুলে ভর্তি হয়েছিস কেন? পুলিশ ডেকে তোকে স্কুলে সন্ত্রাস করার অপরাধে ধরিয়ে দেব।’ মারধরের একপর্যায়ে পরিবারের লোকজন এসে ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে।

রাশিদুলের বাবা কুরবান আলী বলেন, ‘উন্নত শিক্ষার জন্য অভিভাবকেরা ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সন্তানদের ভর্তি করাতে চান। আর এ জন্য একজন শিক্ষক ছাত্রকে এভাবে মারতে পারেন না। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই।’

এ বিষয়ে কতুয়াবাড়ী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শারদুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমিনুর রহমান বলেন, ‘আমি ওই ছাত্রকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলাম। মারধরের প্রমাণ পাওয়া গেছে। বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’