সড়ক কেটে রাখায় ৪০টি পরিবার ভোগান্তিতে

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার সড়ক কেটে ফেলায় এক মাস ধরে ভোগান্তি পোহাচ্ছে ৪০টি পরিবারের শতাধিক মানুষ । সাম্প্রতিক ছবি । প্রথম আলো
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার সড়ক কেটে ফেলায় এক মাস ধরে ভোগান্তি পোহাচ্ছে ৪০টি পরিবারের শতাধিক মানুষ । সাম্প্রতিক ছবি । প্রথম আলো

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার উত্তর পশুরিয়া গ্রামে জমির মালিকানা দাবি করে একটি মাটির সড়ক কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে এক মাস ধরে ভোগান্তি পোহাচ্ছে ৪০টি পরিবারের মানুষ।

চলাচলে দুর্ভোগের শিকার পরিবারগুলো স্থানীয় থানা-পুলিশর কাছে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পায়নি বলে অভিযোগ করেছে। সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, জমির পাশে মাটির সড়ক কেটে জমির সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া হয়েছে। সড়কের কিছু অংশ কেটে নালা করা হয়েছে। সড়ক কেটে ফেলায় লোকজন এবড়োখেবড়ো জমির ওপর দিয়ে চলাচল করছে। কয়েক দিনের বৃষ্টিতে কাদা জমে যাওয়ায় চলাচল করতে আরও কষ্ট হচ্ছে।

এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা বলেন, উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের উত্তর পশুরিয়া গ্রামের নূর মিয়া হাওলাদার কয়েক বছর আগে স্থানীয় আবদুল লতিফের কাছ থেকে ৪৪ শতাংশ জমি কেনেন। সেই জমির পাশে অর্ধশত বছরের পুরোনো একটি মাটির রাস্তা ছিল। এরপর নূর মিয়া হাওলাদার রাস্তার জমির মালিকানা দাবি করে এক মাস আগে ওই রাস্তাটি কেটে ফেলেন।

এ সময় ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন বাধা দিলে তিনি নিজের জমির মধ্য থেকে নতুন করে রাস্তা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। পরে রাস্তা করে দেওয়ার জন্য নূর মিয়ার কাছে গেলে তিনি বলেন, তাঁর জমির ওপর দিয়ে আর রাস্তা করা যাবে না।

এরপর ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে মঠবাড়িয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাঁরা বলেন, গ্রামের মূল সড়ক থেকে এ রাস্তা দিয়ে তাঁরা বাড়ি যান। ফলে এর কোনো বিকল্প তাঁদের নেই।

ভুক্তভোগী কৃষক তোতাম্বর হোসেন হাওলাদার (৬৫) বলেন, অভিযোগ করার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পক্ষের মধ্যস্থতার কথা বলে। পরে আর কোনো উদ্যোগ নেয়নি।

নূর মিয়া ওই জমির মালিকানা দাবি করে বলেন, ‘আমার জমির ওপর রাস্তা আমার প্রয়োজনে কেটে ফেলেছি।’

মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমআর শওকত আনোয়ার ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। দুই পক্ষ সমঝোতায় না বসায় ফয়সালা করা সম্ভব হয়নি। পুনরায় দুই পক্ষকে নিয়ে সমঝোতার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।