শনিবার থেকে বহুতল ভবন পরিদর্শন শুরু ডিএনসিসির

আগামী শনিবার থেকে উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) বহুতল ভবনগুলো পরিদর্শনে কমপ্লায়েন্স টিম কাজ শুরু করবে। সংস্থাটির একাধিক দল বিভিন্ন এলাকার ভবনে অগ্নিনিরাপত্তা, ফায়ার অ্যালার্ম, জরুরি নির্গমন পথসহ প্রয়োজনীয় নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন করবে। সেসব ঠিক না থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গতকাল মঙ্গলবার গুলশান ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম। ‘অগ্নিঝুঁকিতে রাজধানী: সিটি করপোরেশনের ভূমিকা ও নাগরিকদের করণীয়’ শীর্ষক এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ঢাকা ইউটিলিটি রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন।

সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, আগুন নেভাতে ভবনগুলোতে প্রয়োজনীয় পানির ব্যবস্থা রাখার নির্দেশ দেওয়া হবে। তবে এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রাকৃতিক জলাধারগুলো দখলমুক্ত করে পানি চলাচলের ব্যবস্থা করা। সে জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আর ওয়াসাও হাইড্রেন্ট বসাতে পারে।

মেয়র বলেন, ঢাকায় যেসব সংস্থা কাজ করে, সেগুলোর সঙ্গে সমন্বয়হীনতা বহুকাল থেকেই চলে আসছে। তবে ঝুঁকি মোকাবিলায় স্থানীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ, ওয়াসা, রাজউকসহ সব কটি সেবা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করেই কাজ করবে ডিএনসিসি। সে জন্য ইতিমধ্যে আলোচনা হয়েছে। সব পক্ষ একসঙ্গে বৈঠক করে করণীয় ঠিক করা হবে।

ঢাকার ভবনগুলোর নিরাপত্তাব্যবস্থা দুর্বল স্বীকার করে মেয়র বলেন, আগুনের ঝুঁকি কমানোর জন্য কাজ করতে ন্যাশনাল ফায়ার প্রোটেকশন অ্যাসোসিয়েশন নামে একটি সংস্থা গঠন করা হবে।এ ছাড়া অবৈধ ও অনুমোদনহীন ভবনের নকশা নিয়ে ডিএনসিসি, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত অধিদপ্তর এবং রাজউককে নিয়ে কাজ করবে।

মেয়র আতিকুল ইসলাম অগ্নিদুর্ঘটনা মোকাবিলায় আগে থেকেই ভবনগুলোতে নিরাপত্তাকর্মীদের ফায়ার ড্রিল প্রশিক্ষণ, ভবনের নিরাপত্তারক্ষীদের প্রশিক্ষণ ও নিরাপত্তার পোশাক পরানোর ওপর গুরুত্ব দেন। এ বিষয়ে ডিএনসিসিকে জানানো হলে তারা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে বলে তিনি জানান।তা ছাড়া প্রতিটি ভবনে অন্তত একজন নিরাপত্তাপ্রহরীকে আগুনের ঝুঁকি থেকে নিরাপদ পোশাক পরে দায়িত্ব পালন করতে হবে। বহুতল ভবনের সঙ্গে স্কুলগুলোতেও জরুরি নির্গমন পথ ঠিক রাখার আহ্বান জানান তিনি।

আতিকুল ইসলাম বলেন, বাণিজ্যিক ভবন ছাড়াও হাসপাতাল, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়সহ প্রায় সব ধরনের ভবন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। এসব ভবনে অগ্নিনিরাপত্তা, বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা ও জরুরি পরিস্থিতিতে বের হওয়ার ব্যবস্থা না থাকলে সেসব ভবনে কাজ না করতে কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মেয়র। এ বিষয়ে কোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মী চাইলে ডিএনসিসিতে অভিযোগ জানাতে পারবেন। সেসব অভিযোগকারীর পরিচয় গোপন রাখবে ডিএনসিসি। এ ছাড়া ভবনের নিরাপত্তা ও অগ্নিনিরাপত্তা সম্পর্কে অভিযোগ জানাতে নগরবাসীর জন্য অভিযোগ বাক্স ও হটলাইন নম্বর চালু করবে ডিএনসিসি। শিগগিরই চালু করা হবে নগর অ্যাপ। তা ছাড়া ডিএনসিসির ওয়েবসাইটে অগ্নিনিরাপত্তা–সংক্রান্ত সচেতনতামূলক কার্যক্রম দেওয়া থাকবে।