ভিপিকে যা খাওয়ালেন উপাচার্য

উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান ও ডাকসুর ভিপি নুরুল হক
উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান ও ডাকসুর ভিপি নুরুল হক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম (এস এম) হলে হামলার ঘটনায় আজ বুধবার বিচার চাইতে গেলে উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান ডাকসুর সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হকসহ সবাইকে নাশতা করান।

নাশতার মেন্যুতে ছিল দুটি পরোটা, একটি ডিম ভাজি, সবজি ভাজি ও একটি কলা।

এই সাক্ষাতে নুরুল হকসহ কয়েকজনের ওপর হামলার ঘটনা তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান। তবে এস এম হলের ওই ঘটনায় আগামী সোমবারের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন নুরুল হক। উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি সোমবার পর্যন্ত কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেন।

নুরুলের সঙ্গে উপাচার্যের কাছে গিয়েছিলেন ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন, শামসুন নাহার হলের ভিপি শেখ তাসনীম আফরোজ, স্বতন্ত্র জোট থেকে ডাকসুর ভিপি প্রার্থী অরণি সেমন্তি খান, জিএস প্রার্থী শাফী আবদুল্লাহ, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী তালিম হাসান রিজভী এবং সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের জিএস প্রার্থী রাশেদ খান ও এজিএস প্রার্থী ফারুক হোসেন প্রমুখ। উপাচার্য কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সাদেকা হালিম, সহকারী প্রক্টর সীমা ইসলাম প্রমুখ। উপাচার্য তাদের বলেন, ‘এস এম হলের মঙ্গলবারের ঘটনায় হলের প্রাধ্যক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্যায় করে কেউ যাতে পার না পায়, সে বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করব।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্দু বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী ফরিদ হাসানকে এস এম হল শাখা ছাত্রলীগ ও হল সংসদ নেতাদের নেতৃত্বে গত সোমবার রাতে মারধর করা হয়। হল সংসদের নেতারা ফরিদের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা ও সেবনের অভিযোগ তোলেন। ওই ঘটনার বিচার চেয়ে গতকাল বিকেলে হলের প্রাধ্যক্ষকে স্মারকলিপি দিতে গিয়েছিলেন ভিপি নুরুল হকসহ অভিযোগকারীরা। তাঁরা হলটির ভেতরে গেলে সেখানে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। এরপর সন্ধ্যায় হলটি থেকে বের হতে গেলে নুরুল হক, আখতার হোসেন, শেখ তাসনীম আফরোজ, উম্মে হাবিবা, অরণি সেমন্তি খানসহ বেশ কয়েকজনকে মারধর ও লাঞ্ছিত করেন হল শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।