জি এম কাদেরকে পুনর্বহালের দাবি জাতীয় পার্টি ঐক্যজোটের নেতা-কর্মীদের

জি এম কাদের। ফাইল ছবি
জি এম কাদের। ফাইল ছবি

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জি এম কাদেরকে দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা পদে পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি ঐক্যজোটের নেতা-কর্মীরা। আজ বুধবার ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে তাঁরা এই দাবি জানান।

মানববন্ধনে জাতীয় পার্টি ঐক্যজোটের সভাপতি শফিউল্লাহ বলেন, প্রেসিডেন্ট পদ থেকে পদত্যাগের পর এইচ এম এরশাদ যখন কারারুদ্ধ হয়েছিলেন, তখন জি এম কাদের চাকরি ছেড়ে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের পাশে থেকেছেন। এরশাদ মুক্তির আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা অন্যতম। তিনি চারবারের নির্বাচিত সাংসদ, দায়িত্ব পালন করেছেন মন্ত্রীর, কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনো অভিযোগ নেই।

জি এম কাদের যড়যন্ত্রের স্বীকার উল্লেখ করে শফিউল্লাহ বলেন, ‘দলের ভেতর লুকিয়ে থাকা হাতে গোনা কয়েকজন নেতার ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন জি এম কাদের। আমরা হতবাক হয়ে লক্ষ্য করি যে হঠাৎ করে তাঁকে কয়েকটি পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। বিস্মিত হয়েছি যে দায়িত্ব পালনে তিনি ব্যর্থ, এমন কথা বলা হয়েছে। সুনির্দিষ্টভাবে কোন বিষয়ে তিনি ব্যর্থ, সেটি উল্লেখ করা হয়নি। তা ছাড়া তিনি পার্টিতে বিভাজন তৈরি করেছেন বলা হয়েছে। কিন্তু কী বিভাজন, কেমন করে সৃষ্টি করা হলো, তা বলা হয়নি।’

শফিউল্লাহ বলেন, জি এম কাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের সময় ছিল মাত্র ১০ দিন। এ সময়ে তিনি দলীয় প্রধানের রোগমুক্তি কামনায় বিভিন্ন স্থানে দোয়া ও ফাতেহা পাঠের আয়োজন করেছেন। এ ছাড়া অন্য কিছু দায়িত্ব থাকলেও তা তিনি পালন করেছেন। এত কম সময়ের জন্য দায়িত্বে থাকা ব্যক্তির বিরুদ্ধে দায়িত্ব পালনের ব্যর্থতা বলাটা কতটা যুক্তিসংগত—সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি।

মানববন্ধনে জাতীয় পার্টি ঐক্যজোটের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

গত ২২ মার্চ রাতে সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ তাঁর ছোট ভাই জি এম কাদেরকে দলের কো-চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেন। সে সময় দলের ফেসবুক পাতায়ও এইচ এম এরশাদ স্বাক্ষরিত অব্যাহতিসংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এর আগে গত ১৭ জানুয়ারি এরশাদ তাঁর ভাই জি এম কাদেরকে কো-চেয়ারম্যান ঘোষণা করেছিলেন।