সুন্দরবনের কাছে হবে নিবিড় পর্যটন অঞ্চল

রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ টুরিজম বোর্ড আয়োজিত ‘উন্নয়ন ভাবনায় পর্যটন’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ টুরিজম বোর্ড আয়োজিত ‘উন্নয়ন ভাবনায় পর্যটন’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: সংগৃহীত

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মহিবুল হক বলেছেন, পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে সুন্দরবনের কাছে পর্যটন বিকাশে একটি নিবিড় পর্যটন অঞ্চল তৈরি করা হবে। কক্সবাজারে বিশেষ পর্যটন অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে। আজ বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ টুরিজম বোর্ড আয়োজিত ‘উন্নয়ন ভাবনায় পর্যটন’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

মো. মহিবুল হক বলেন, আমাদের যে সমস্ত পর্যটন স্পট আছে তা এখনো দেশি এবং বিদেশি পর্যটকদের কাছে পূর্ণরূপে তুলে ধরা যায়নি। পর্যটন স্পটগুলোকে পর্যটকদের কাছে তুলে ধরতে মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি আমাদের সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে কাজ করছি। বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবনকে নিয়ে মাস্টার প্ল্যান তৈরি করেছি। সুন্দরবনের কাছে পর্যটন বিকাশে একটি নিবিড় পর্যটন অঞ্চল তৈরি করা হবে। এর উন্নয়নে মন্ত্রণালয় বেসরকারি সকল স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে একত্রে কাজ করবে।

কক্সবাজারকে পর্যটক বান্ধব করা যায়নি উল্লেখ করে সচিব বলেন, কক্সবাজার আমাদের অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ। কিন্তু কোনো পর্যটক কক্সবাজার বেড়াতে গেলে সমুদ্র দেখা ছাড়া তাঁর আর কিছু করণীয় থাকে না। এই সমস্যা দূর করার জন্য কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত রাস্তার দুপাশের সমস্ত অঞ্চলকে নিবিড় পর্যটন অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের পর্যটন শিল্পের বিকাশে সহায়তা করা হবে । কক্সবাজারের বাঁকখালী নদীর মোহনায় দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে বিশেষ পর্যটন অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে। সেখানে পর্যটকদের বিনোদনের সমস্ত সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।এ ছাড়া বান্দরবান রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলার পাহাড়,নদী এবং লেকের সৌন্দর্য পর্যটকদের কাছে তুলে ধরার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আতিকুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ টুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ভুবন চন্দ্র বিশ্বাস। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান খান কবির এবং বাংলাদেশ টুরিজম বোর্ডের পরিচালক আবু তাহের মোহাম্মদ জাবের।