খালেদার মুক্তি হলেই গণতন্ত্রের মুক্তি: মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলটির প্রতিনিধিদের নেতৃত্ব দেন। ফাইল ছবি
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলটির প্রতিনিধিদের নেতৃত্ব দেন। ফাইল ছবি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমাদের জনগণের কাছে যেতে হবে। জনগণের শক্তি দিয়েই অপশক্তিকে নির্মূল করতে হবে। দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি হলেই গণতন্ত্রের মুক্তি অবশ্যম্ভাবী হবে। তাঁর মুক্তির জন্য আরও তীব্রভাবে আমাদের আন্দোলনে যেতে হবে।’ আজ বুধবার সন্ধ্যায় ছয়টার দিকে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে এক সমাবেশে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ৯০-এর ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র-ঐক্য এই সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, সরকার জনগণ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। এই কারণেই সরকার ক্ষমতায় থেকে সমস্ত অগণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।

সরকার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সরকার বিচার বিভাগ ধ্বংস করেছে, অ্যাপিলেট বিভাগ করেছে, মিডিয়াকে কবজা করে নিয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আজ্ঞাবহ করেছে।’

গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মিডিয়া এখন নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া। বিরোধী দলের খবর সবচেয়ে কম ছাপা হয় পত্রিকাগুলোয়, তৃতীয় কিংবা পঞ্চম পৃষ্ঠাতে। ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে খুব কম দেখানো হয়। মিডিয়া একটা বড় মাধ্যম, এর মাধ্যমে জনগণের কাছে পৌঁছানো যায়।’

মির্জা ফখরুল বলেন, যেকোনো সময় যেকোনো লড়াইয়ে অংশ নিতে তৈরি থাকতে হবে। জনগণের শক্তির কাছে আর কোনো শক্তি থাকতে পারে না। এই জনগণের শক্তি দিয়েই অগ্রসর হতে হবে। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে, গণতন্ত্রকে মুক্ত করে বিএনপি আবার ঘুরে দাঁড়াবে। কখনো অন্যায়ের কাছে ন্যায়ের পরাজয় হয় না, ন্যায়ের জয় হবেই।

সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে সাবেক ডাকসু ভিপি আমান উল্লাহ আমান বলেন, ‘শেখ হাসিনা উদ্দেশ্যমূলকভাবে খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছেন। খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখেই শেখ হাসিনা নির্বাচন করেছেন। দেশের মানুষ জানে কেমন নির্বাচন হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আওয়ামী লীগ ১০টি সিটও পেত না। বাংলাদেশের ভোটে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হননি। শেখ হাসিনার পতন ঘটিয়েই খালেদা জিয়াতে মুক্ত করব আমরা ইনশা আল্লাহ। হয় খালেদাকে মুক্ত করব, নইলে প্রয়োজনে জেলের ভেতরে থাকব।’

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘দেশ এক মর্মান্তিক মুহূর্তে এসে পৌঁছেছে। ব্যাংক ফাঁকা হয়ে গিয়েছে, শেয়ার মার্কেটে লুটপাট যারা করেছে, তারা ঘুরে বেড়াচ্ছে, তথাকথিত নির্বাচন হয়েছে। অথচ বলা হচ্ছে, গণতন্ত্র ও শাসন নাকি আগের চেয়ে ভালো। এমন অবস্থায় খালেদা জিয়াকে মিথ্যে মামলা দিয়ে কারাগারে রাখা হয়েছে। রাষ্ট্র মানুষের ন্যূনতম গণতান্ত্রিক অধিকার রাখতে পারেনি।’

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর, ডেমোক্রেটিক লীগের সেক্রেটারি সাউফুদ্দিন আহমেদ, প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি প্রমুখ সমাবেশে বক্তব্য দেন।