অভিযানে ভাঙা হলো ৪ ভবন

রাজউকের অনুমোদন নেই। তাই ভেঙে দেওয়া হলো নির্মাণাধীন একতলা ভবনটি। গতকাল টয়েনবি সার্কুলার রোডে।  ছবি: প্রথম আলো
রাজউকের অনুমোদন নেই। তাই ভেঙে দেওয়া হলো নির্মাণাধীন একতলা ভবনটি। গতকাল টয়েনবি সার্কুলার রোডে। ছবি: প্রথম আলো

নকশা না মেনে নির্মাণ করা ভবনে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। গতকাল বুধবার পুরান ঢাকার ওয়ারী এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে চারটি নির্মাণাধীন ভবন উচ্ছেদ করা হয়।

বনানীর এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের পর রাজধানীর আটটি অঞ্চলের সুউচ্চ ভবনের যথাযথ অনুমোদন, অগ্নিনিরাপত্তা, ফায়ার সার্ভিসের পানির পাম্প, জরুরি বিকল্প সিঁড়িসহ বিভিন্ন বিষয় পরিদর্শনে ২৪টি দল গঠন করে রাজউক। গতকাল ওয়ারীর অভিযানে নেতৃত্ব দেন রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন আক্তার।

সকাল সাড়ে ১১টায় টয়েনবি সার্কুলার রোডে অভিযানের শুরুতে অনুমোদন না থাকায় স্টার কার হাউস-১ নামের একটি একতলা নির্মাণাধীন ভবন উচ্ছেদ করা হয়।

একই সঙ্গে পাশের আর্কেডিয়া গ্লোরি ও মান্নান টাওয়ার নামের দুটি ভবনের অনুমোদিত নকশা না থাকার অভিযোগ আনা হয়। বিচ্ছিন্ন করা হয় বিদ্যুৎ–সংযোগ। চারতলার মান্নান টাওয়ারের অনুমোদন না থাকায় প্রথমে ভবনটিতে থাকা বিভিন্ন দোকানের মালামাল আধা ঘণ্টার মধ্যে সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। সাময়িকভাবে আটক করা হয় ভবনটির মালিক শহিদুল ইসলামকে। পরে ভবনমালিকেরা নকশা দেখালে এই দুই ভবনে অভিযান বাতিল করা হয়। ছেড়ে দেওয়া হয় শহিদুলকে। পরে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘তাৎক্ষণিকভাবে নকশার কাগজ দেখাতে না পারায় আটক করা হয়েছিল। আর এভাবে হুটহাট অভিযানে আমাদের মতো সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়।’

দুপুরে দ্বিতীয় দফায় অভিযান চালানো হয় ওয়ারীর ফোল্ডার রোড এলাকায়। এ সময় ৭ নম্বর হোল্ডিংয়ের দোতলা পর্যন্ত নির্মাণাধীন একটি ভবনের অনুমোদন না থাকায় ভবনের সামনের অংশ ভেঙে ফেলা হয়। ভবন অনুমোদনের নকশা না থাকায় আংশিক ভেঙে ফেলা হয় দয়াগঞ্জ নতুন রাস্তা এলাকার একটি পাঁচতালা ও একতলা ভবন।

অভিযানের সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন আক্তার গণমাধ্যমকে বলেন, চলমান প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এ অভিযান হচ্ছে। এটি ভবনমালিকে ও ভবনে দোকান কিংবা ফ্ল্যাট ভাড়াটেদের জন্য একটি বার্তা। যাতে সবাই সচেতন হন এবং যেকোনো ভবন নির্মাণ বা ভাড়া নেওয়ার সময় রাজউকের অনুমোদিত নকশা আছে কি না, তা যাচাই করেন।

বিকেল পাঁচটায় শেষ হয় অভিযান। এ সময় রাজউকের অঞ্চল–৭–এর পরিচালক আনন্দ কুমার বিশ্বাস, অনুমোদনকারী কর্মকর্তা নুর আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।