এফ আর টাওয়ারের তথ্য চেয়ে ৯ সংস্থায় দুদকের চিঠি

প্রথম আলো ফাইল ছবি
প্রথম আলো ফাইল ছবি

রাজধানীর বনানীর এফ আর টাওয়ার নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে অনুসন্ধান শুরুর পরদিনই ৯ সংস্থায় তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ বৃহস্পতিবার ওই সব সংস্থায় চিঠি দেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা ও দুদকের উপপরিচালক আবু বকর সিদ্দিক।

যেসব সংস্থায় চিঠি দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে—রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, পরিবেশ অধিদপ্তর, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, সিটি করপোরেশন, ঢাকা যানবাহন সমন্বয় বোর্ড ও ঢাকা ওয়াসা।

সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে চিঠি দিয়ে ৩ কার্যদিবসের মধ্যে তথ্য জানাতে বলেছে দুদক।

এফ আর টাওয়ারের ১৮ তলার অনুমোদন থাকার পরও কীভাবে ২৩ তলা করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে দুদক। এর সঙ্গে কারা জড়িত, কাদের অবহেলা আছে, তাও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

ভবনটি নির্মাণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর ছাড়পত্র বা অনুমোদন নেওয়া হয়েছে কি না, সংস্থাগুলো কোন নীতিমালার ভিত্তিতে অনুমোদন দিয়েছে, সেই নীতিমালার কপিও চেয়েছে দুদক।

এফ আর টাওয়ার নির্মাণে অনিয়ম হয়েছে কি না এবং এর সঙ্গে কারা কারা জড়িত, তা অনুসন্ধানের বিষয়ে গতকাল বুধবার সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।

এর আগে গত রোববার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে দুদক মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে সংস্থার চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, এফ আর টাওয়ার নির্মাণে অনিয়মকারীদের সবাই ছেড়ে দিলেও তারা ছাড়বে না। তিনি বলেন, অনিয়মের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের ক্ষমা হবে না। এভাবে জনগণের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা আর সহ্য করা ঠিক হবে না।

গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বনানীর এফ আর টাওয়ারে আগুন লাগে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৬ জন নিহত হন। আহত অর্ধ শতাধিক।

এ ঘটনায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। তিন আসামি হলেন—এফ আর টাওয়ারের জমির মালিক এস এম এইচ আই ফারুক, ভবন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রূপায়ণ গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুল ও এফ আর টাওয়ারের বর্ধিত অংশের মালিক বিএনপি নেতা তাসভির উল ইসলাম। তাঁদের মধ্যে ফারুক ও তাসভিরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটির তদন্ত করছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।