কমলাপুর রেলস্টেশন ও ত্রিশাল সাবরেজিস্ট্রি অফিসে দুদকের অভিযান

নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পেয়ে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন ও ময়মনসিংহের ত্রিশাল সাবরেজিস্ট্রি অফিসে আলাদা অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বৃহস্পতিবার অভিযান দুটি চালানো হয় বলে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগ জানিয়েছে।

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার সাবরেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে অনিয়ম, ঘুষ গ্রহণ, ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সংস্থার ময়মনসিংহ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এ কে এম বজলুর রশিদের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় দুদকের দলটি জানতে পারে, সাবরেজিস্ট্রার ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে জাল দলিলের মাধ্যমে পৌনে চার একর জমি হাতিয়ে নেওয়াসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ আছে। তাঁর এসব কর্মকাণ্ডের কারণে জনরোষ তৈরি হলে তাঁকে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বদলি করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। দুদকের দলটি জাল দলিলের অভিযোগ সংক্রান্ত সব রেকর্ডপত্র জব্দ করে। এ সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পরবর্তী আইনি কার্যক্রমের জন্য কমিশনে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

এদিকে দুদকের হটলাইনে (১০৬) নানা অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে অভিযান চালায় সহকারী পরিচালক শেখ গোলাম মওলার নেতৃত্বে পুলিশসহ ৮ সদস্যের একটি দল। দলটি টিকিট কালোবাজারির অভিযোগের বিষয়ে স্টেশন ম্যানেজার আমিনুল হকের সঙ্গে কথা বলে এবং বিভিন্ন কাউন্টার পরিদর্শন করে সেবার মানোন্নয়নে পরামর্শ দেয়।

এ সময় দুদকের দলটি স্টেশনে উপস্থিত টিকিটপ্রত্যাশীদের সঙ্গে কথা বলে নানা সমস্যার বিষয়ে তথ্য নেয়। কিছু সমস্যা তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান করা হয়। স্টেশন ম্যানেজার জানান, জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার পর কালোবাজারি কমেছে। সব ট্রেনের টিকিট কেনার জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক করা হলে কালোবাজারি শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে বলে তিনি মত দেন।

জামালপুরগামী ভাওয়াল এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগি কিছু পুলিশ সদস্য দখল করে টিকিটধারী যাত্রীদের আসন পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করছেন জেনে তা খতিয়ে দেখে দলটি। এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে জিআরপি থানার এসপি (প্রশাসন) শেহেলী পারভীনকে জানানো হলে এ বিষয়ে ট্রেন গার্ডের দায়িত্বে অবহেলা আছে কিনা তা নির্ধারণে তদন্ত কমিটি গঠন করেন।