সুবর্ণচরে ধর্ষণ মামলার আরেক আসামির আত্মসমর্পণ

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে স্বামীকে আটকে রেখে ছয় সন্তানের মাকে (৩৫) গণধর্ষণের ঘটনায় দায়ের মামলায় আরও এক আসামি আজ বৃহস্পতিবার আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। তাঁর নাম মো. হেলাল ওরফে রিপন (২৮)। তিনি মামলার এজাহারভুক্ত ৫ নম্বর আসামি বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা চর জব্বার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইব্রাহিম খলিল।

আজ দুপুরে নোয়াখালীর ৪ নম্বর আমলি আদালতে আত্মসমর্পণের পর আসামি মো. হেলালকে জেলা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নবনীতা গুহ। পরে তাঁকে পুলিশ নোয়াখালী জেলা কারাগারে পাঠায়।

তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, আত্মসমর্পণকারী এই আসামিকেও রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে আদালতে। এ নিয়ে এ পর্যন্ত পাঁচজন আসামি গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন দুজন আসামি।

এদিকে ছয় সন্তানের মাকে গণধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত সব আসামিকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে আজ জেলা মাইজদীর টাউন হল মোড়ের আবদুল মালেক উকিল সড়কে মানববন্ধন ও প্রতিবাদী সমাবেশ হয়েছে। বাসদ (মার্কসবাদী) নোয়াখালী জেলা শাখার উদ্যোগে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত রোববার অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী তাজ উদ্দিনের ‘চশমা’ প্রতীকে ভোট দেওয়ায় অপর প্রার্থী ফরহাদ হোসেন চৌধুরীর ‘তালা’ প্রতীকের সমর্থক ইউছুফ মাঝির সঙ্গে ভোটকেন্দ্রে ওই নারী (৩৫) ও তাঁর স্বামীর বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। তখন ইউছুফ মাঝি তাঁদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে আত্মীয় বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় একটি বাজারের কাছে ১০-১২ জন তাঁদের পথরোধ করে মারধর করে। পরে ওই নারী গণধর্ষণের শিকার হন। এ ঘটনায় ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে আটজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও চারজনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করেন।