মোকাব্বিরকে চেম্বার থেকে বেরিয়ে যেতে বললেন ড. কামাল

ড. কামাল ও মোকাব্বির খান
ড. কামাল ও মোকাব্বির খান

শপথ নেওয়ার পর গণফোরামের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সিলেট-২ আসনের সাংসদ মোকাব্বির খান দলের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তাঁকে চেম্বার থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। মোকাব্বির খানকে দেখে কামাল হোসেন ক্ষুব্ধ হন বলে জানান প্রতক্ষ্যদর্শীরা। তবে মোকাব্বির খান বলছেন, এ ধরনের কিছু ঘটেনি।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা তিনটার পর মোকাব্বির খান মতিঝিলে কামাল হোসেনের চেম্বারে যান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার কেন্দ্রীয় নেতা নুরুল হুদা মিলু চৌধুরী ও ঐক্যবদ্ধ ছাত্রসমাজের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ উল্লাহ মধু। প্রত্যক্ষদর্শীদের একজন প্রথম আলোকে বলেন, ‘উনি (মোকাব্বির) স্যারের রুমের দরজা খুলে স্যারকে সালাম দেন। তখন স্যার বলেন, আপনি কার অনুমতি নিয়ে পত্রিকায় স্টেটমেন্ট দিয়েছেন যে গণফোরাম থেকে আপনাকে শপথ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে? গণফোরাম সভাপতি আপনাকে অনুমতি দিয়েছে?’ ওই প্রত্যক্ষদর্শী আরও বলেন, ‘এ সময় মোকাব্বির খান চুপ করেছিলেন। স্যার রাগ হয়ে বলেছেন, আমি দ্বিতীয়বার আপনার চেহারা দেখতে চাই না। আই সে, গেট আউট। আপনার জন্য আমার দরজা চিরতরে বন্ধ। আমার বাসা চেম্বার কোথাও আসবেন না।’

তবে এ ব্যাপারে মোকাব্বির খান প্রথম আলোকে বলেন, কামাল হোসেনের সঙ্গে তাঁর ৩৫ বছরের সম্পর্ক। আজকে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

এদিকে সন্ধ্যায় গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মোকাব্বির খানের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। তাঁর শপথের বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতারা অবগত ছিলেন না। তিনি ব্যক্তিগত ইচ্ছায় শপথ নিয়েছেন। মোকাব্বির খান মিডিয়াতে গণফোরাম সভাপতি, সংগঠন বিষয়ে অসত্য ও বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য প্রদান করেছেন। যা অসত্য, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট।

২ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে মোকাব্বির খান শপথ নেন। তিনি এবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অধীনে নিজ দলের উদীয়মান সূর্য প্রতীকে সিলেট-২ আসন থেকে নির্বাচন করেন।

এবারের নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আটটি আসনে জয়লাভ করে। তার মধ্যে বিএনপি ছয়টি ও গণফোরাম দুটি আসন পায়। গণফোরামের আরেক সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মনসুর মৌলভীবাজার-২ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে লড়ে নির্বাচিত হন। গত ৭ মার্চ তিনি শপথ নেন। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে শপথ নেওয়ায় তাঁকে গণফোরাম থেকে বহিষ্কার করা হয়। ৭ মার্চ মোকাব্বির খানেরও শপথ নেওয়ার কথা ছিল। তবে তার আগের দিন তিনি সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। তবে পরে তিনি শপথ নেন।

অবশ্য বিএনপি শপথ না নেওয়ার ব্যাপারে এখনো অনড়। সংবিধান অনুযায়ী চলতি মাসের মধ্যে নির্বাচিত ব্যক্তিদের শপথ নিতে হবে।