কুমুদিনী মেডিকেল কলেজের ছাত্রীনিবাসে আগুন, আহত ৩

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজের নতুন ছাত্রীনিবাসের দুই নম্বর ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে তেমন ক্ষয়ক্ষতি না হলেও ভবন থেকে হুড়োহুড়ি করে বের হওয়ার সময় অন্তত তিনজন শিক্ষার্থী আহত হন। এ ছাড়া আরও দুজন ভয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তাঁদের কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার বিকেল চারটার দিকে ভবনের সিঁড়ির পাশে বিদ্যুতের প্যানেল বোর্ডে শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যে আগুনের ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে ছয়তলা ভবনে। এ সময় দ্রুত স্থানীয় কিছু যুবক, কর্তব্যরত নিরাপত্তাকর্মী গোলাম মোস্তফাসহ কয়েকজন বালু ও সাতটি ফায়ার এক্সটিংগুইশার দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে ভবনটির দ্বিতীয়, তৃতীয় ও ষষ্ঠ তলায় আটকে পড়া বিদেশি শিক্ষার্থীসহ মোট ১৪৪ জনকে নিরাপদে নিচে নামিয়ে আনা হয়। তবে তাড়াহুড়ো করে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামার সময় তিন ছাত্রী পায়ে আঘাত পান এবং ভয়ে দুজন অচেতন হয়ে পড়েন।

নিরাপত্তাকর্মী গোলাম মোস্তফা বলেন, আগুন লাগার আগমুহূর্তেও বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন সিঁড়ির পাশে কাজ করছিলেন। কীভাবে প্যানেল বোর্ডে আগুন লেগেছে, তা বোঝা যাচ্ছে না। ফায়ার এক্সটিংগুইশার থাকায় দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।

হোস্টেল সুপার রীনা রানী প্রথম আলোকে জানান, ভবনটির কয়েকটি কক্ষে বিদ্যুৎ-সংযোগ দিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা কাজ করছিলেন। এ সময় হঠাৎ আগুনের খবর পাওয়া যায়।

মেডিকেল কলেজের অফিসার ইনচার্জ রতন চন্দ্র সরকার বলেন, ভবন থেকে হুড়োহুড়ি করে নিচে নামার সময় তিনজন ছাত্রী পায়ে আঘাত পান। এ ছাড়া দুজন ছাত্রী ভয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। চিকিৎসার জন্য তাঁদের কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভবনটিতে থাকা ১৪৪ জন শিক্ষার্থীর সবাই নিরাপদে আছেন।

মির্জাপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের লিডার মহিদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ভবনটির বিদ্যুতের প্যানেল বোর্ডে শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে তাঁদের কর্মীরা ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই স্থানীয় লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন।