ভারত-বাংলাদেশের সামাজিক, বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্কে আরও উন্নয়ন সম্ভব: ভারতীয় হাইকমিশনার

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের তিলকপুর সরকারি সর্বজনীন পূজামণ্ডপের দোতলা ভবনের উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেন ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাস। মৌলভীকাজার, শুক্রবার, ৫ এপ্রিল। ছবি: মুজিবুর রহমান
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের তিলকপুর সরকারি সর্বজনীন পূজামণ্ডপের দোতলা ভবনের উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেন ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাস। মৌলভীকাজার, শুক্রবার, ৫ এপ্রিল। ছবি: মুজিবুর রহমান

ভারত ও বাংলাদেশ—এই দুই দেশ আরও কাছাকাছি এসে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের আরও উন্নয়ন সম্ভব। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে তিলকপুর সরকারি সর্বজনীন পূজামণ্ডপের দোতলা ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুক্রবার সকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাস এ কথা বলেন।

ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের সিলেটের সঙ্গে ভারতের আসাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরার সীমান্ত রয়েছে। এই তিন রাজ্যের সঙ্গে সিলেটের ভাষা, সংস্কৃতি ও সামাজিকতায় সুনিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেই সিলেটে একটি ভারতীয় ভিসা কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। সিলেট বিভাগের বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ বহু ভাষাভাষী মানুষের বসবাস। তাদের নিজস্ব ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সুষ্ঠু বিকাশে ভারত সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে আসছে। ফলে ভারতীয় হাইকমিশন কমলগঞ্জে কয়েকটি কমপ্লেক্স নির্মাণ করে দিয়েছে।

ভারতীয় হাইকমিশনের সহায়তায় ২ কোটি ৫৩ লাখ টাকা ব্যয়ে তিলকপুর সরকারি সর্বজনীন পূজামণ্ডপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রীভা গাঙ্গুলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেটে নিযুক্ত ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনার ডি কে কৃষ্ণমূর্তি, মণিপুরী সমাজকল্যাণ সংস্থার সভাপতি আনন্দ মোহন সিংহ, আলীনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজলুল হক প্রমুখ। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় হাইকমিশনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।

শুক্রবার সকালে ভারতীয় হাইকমিশনার ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে নতুন নির্মিত ভবনের উদ্বোধন করেন। এ সময় ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি রাজ্যের সঙ্গে সিলেটের বাণিজ্যিক সুসম্পর্ক রয়েছে। এই ব্যবসা-বাণিজ্য তরান্বিত করতে দুই দেশ একযোগে কাজ করছে। প্রয়োজনীয় স্থানে সীমান্ত হাট হচ্ছে। এভাবেই দুই দেশ আরও কাছাকাছি আসতে পারবে।