মাগুরায় স্ত্রীকে কুপিয়ে পালানোর অভিযোগ রিকশা চালকের বিরুদ্ধে

নারী নির্যাতন। প্রতীকী ছবি
নারী নির্যাতন। প্রতীকী ছবি

মাগুরার মহম্মদপুরে স্ত্রীকে কুপিয়ে এক ব্যক্তি পালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার বাবুখালি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত রেশমা (৩০) বর্তমানে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

রেশমা মহম্মদপুর উপজেলার বাবুখালি গ্রামের রশিদ শেখের মেয়ে। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম সাগর। তাঁর বাড়ি পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার শ্রীপুর গ্রামে।

আহত রেশমার চাচা মুজিবর শেখ জানিয়েছেন, প্রায় ১৪ বছর আগে রেশমার সঙ্গে সাগরের বিয়ে হয়। তাঁদের এক মেয়ে আছে। পেশায় রিকশা চালক সাগর স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে ঢাকায় থাকতেন। আর রেশমা পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।

মুজিবর শেখ অভিযোগ করেন, সম্প্রতি দাম্পত্য কলহের জেরে বাবার বাড়ি বাবুখালিতে চলে আসেন রেশমা। শুক্রবার প্রথমে টেলিফোনে তাঁর স্ত্রীর কাছে তালাক চান সাগর। এরপর রাতে বাড়ির পুরুষ সদস্যরা যখন নামাজ পড়তে বাইরে যায়, তখন সাগর রেশমার ওপর হামলা চালায়।

আহতের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, সাগর বটি দিয়ে রেশমার মাথায় ও হাতে অন্তত ৬টি কোপ দেন। এতে বাধা দিতে গেলে রেশমার ভাতিজি স্মৃতির (১৩) গায়েও বটির আঘাত লাগে। এ সময় বাড়ির অন্য সদস্যরা এগিয়ে আসলে সাগর পালিয়ে যান।

আহত অবস্থায় রেশমা ও স্মৃতিকে উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে শুক্রবার রাতেই রেশমাকে পাঠানো হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, রেশমার মাথার আঘাত ছিল গুরুতর। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ফরিদপুর পাঠানো হয়।

অভিযুক্ত সাগরের বাবা মো. কুদ্দুস প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের স্থায়ী বাড়ি পাবনা হলেও বর্তমানে থাকেন সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলায়। তিনি বলেন, ২০ বছর ছেলে সাগরের সঙ্গে তাঁর কোনো যোগাযোগ নেই। কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছেলে নষ্ট হয়ে গেলে তার খবর রাখব কি করে।

মহম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক এসআই জাহাঙ্গীর বলেন, এ বিষয়ে এখনো কেউ মামলা করেনি। তবে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে খোঁজ খবর নিয়েছে। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।