শিক্ষক বদলি ও পেনশনে ঘুষ-দুর্নীতি: দুদকের অভিযান

শিক্ষকদের পেনশনের টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে ঘুষ, দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ছাড়া প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলিতে ঘুষ–বাণিজ্যের অভিযোগ পেয়ে তিন জেলায় অভিযান চালানো হয়।

আজ রোববার এসব অভিযান পরিচালনা করা হয় বলে দুদকের জনসংযোগ বিভাগ জানিয়েছে।

দুদক জানিয়েছে, ব্যানবেইসে শিক্ষকদের অবসরোত্তর বিল পাস করানোর জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয় মর্মে তাদের কাছে অভিযোগ আসে। অভিযোগ পেয়ে সহকারী পরিচালক জেসমিন আক্তারের নেতৃত্বে একটি দল অভিযান চালায়। সেখানে দুদক দলটি জানতে পারে, ২০১৭ সালের ৩০ জুনের পর সেখানে জমা দেওয়া কোনো বিল পাস হয়নি। এ বিষয়ে দুদকের দলটি অবসর সুবিধা বোর্ডের পরিচালক মো. খসরুল আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, পেনশন বিল অনুমোদন কমিটির সাবেক সদস্যসচিব শরীফ আহমদ সাদী এ বছরের ১২ জানুয়ারি অবসরে যাওয়ার পর এখন পর্যন্ত সচিব নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এ কারণে কোনো বিলই পাস হচ্ছে না।

সেখানে উপস্থিত শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে দুদক দলটি জানতে পারে, সাবেক সদস্যসচিবের ব্যক্তিগত সহকারী মারুফ অবসর ভাতাভোগীদের কাছ থেকে দ্রুত বিল পাস করিয়ে দেওয়ার আশ্বাসে বিভিন্ন অনৈতিক আর্থিক সুবিধা নেন। দুদক দলের পর্যবেক্ষণকে আমলে নিয়ে ওই অফিস সহকারীকে লিখিতভাবে সতর্ক করা হয়।

এদিকে, দেশব্যাপী প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলিতে ঘুষ–বাণিজ্যের অভিযোগ পেয়ে তিন জেলায় একযোগে অভিযান চালায় দুদকের তিনটি দল। নওগাঁ, পাবনা ও সিলেট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে এসব অভিযান চালানো হয়। অভিযান চলার সময় দুদকের দলগুলো ব্যাপক অনিয়ম পেয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জব্দ করে। এসব কাগজপত্র যাচাই করে শিগগিরই প্রতিবেদন দেবে দলগুলো।

বরগুনার তালতলী উপজেলায় শ্রেণিকক্ষের ছাদের গ্রেটবিম ভেঙে ছাত্রী মৃত্যুর তথ্য জেনে দুদকের একটি বিশেষ দল ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে। দলটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির প্রধান ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে। বিদ্যালয় নির্মাণ ও মেরামতসংক্রান্ত নথি সংগ্রহ করে।