২২ বছর পরে সেন্ট মার্টিনে বিজিবির সীমান্তফাঁড়ি

কক্সবাজারের টেকনাফের প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনে ২২ বছর পরে আবারও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবির) একটি সীমান্তচৌকি স্থাপন করা হয়েছে।

আজ রোববার দুপুরের দিকে টেকনাফ ২ বিজিবির ব্যাটালিয়ন থেকে জনবলের একটি অংশ সেন্ট মার্টিন দ্বীপে পাঠানো হয়েছে। এ তথ্য প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ ২ বিজিবির ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক লে. কর্নেল সরকার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, নিয়মিত টহল দেওয়ার পাশাপাশি চোরাচালান প্রতিরোধ ও সীমান্তের সুরক্ষা করার জন্য সেন্ট মার্টিনে আবারও নতুন করে এ সীমান্তফাঁড়ি স্থাপন করা হয়েছে।

সরকার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ১৯৯৭ সালের আগ পর্যন্ত সেন্ট মার্টিন দ্বীপে বিজিবি (তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস, বিডিআর) ছিল। এরপর থেকে সেন্ট মার্টিনের বিজিবির কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। এত দিন ধরে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সদস্যরা ওই সীমানা পাহারা দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু এবার সেন্ট মার্টিনে বিজিবির নতুন করে একটি সীমান্তফাঁড়ি স্থাপনের কার্যক্রম চালু করেছে। তাই (আজ) রোববার থেকে সেন্ট মার্টিনে বিজিবি টহল দিচ্ছে। এটা নিয়মিত টহলের অংশ। প্রতিদিন বিজিবির সদস্যদের নিয়ে দ্বীপের বিভিন্ন এলাকায় টহল চলবে। বর্তমানে একটি স্থানে বিজিবি অবস্থান নিয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, সীমান্ত সুরক্ষার জন্য কোস্টগার্ডের পাশাপাশি বিজিবিও কাজ করবে। বর্তমানে সেন্ট মার্টিনে বিজিবির একটি সীমান্তফাঁড়ি স্থাপনের মাধ্যমে টহল কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এতে করে সীমান্তে চোরাচালান, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও সীমান্তে নানা অপরাধ দমনে অনেকটা প্রতিরোধে সহায়ক হবে।