দেশে আইনের প্রয়োগ নেই: ড. কামাল

প্রবীণ আইনজীবী ও রাজনীতিক ড. কামাল হোসেন। ফাইল ছবি
প্রবীণ আইনজীবী ও রাজনীতিক ড. কামাল হোসেন। ফাইল ছবি

জাতীয় জনমত তৈরি করে ঐকমত্য গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, বেঁচে থাকা সংবিধানের এক নম্বর অধিকার। বিস্তারিত বিধান আছে। প্রয়োজনীয় আইন তো আছে, এটা প্রয়োগের ব্যাপার। দেশে আইনের প্রয়োগ নেই। সরকার যদি চায়, এ ব্যাপারে সহায়তা করতে চান তিনি।

আজ রোববার বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী মিলনায়তনে উদ্বিগ্ন নাগরিক সমাজ আয়োজিত ‘অগ্নিনিরাপত্তা ও আইনের প্রয়োগ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন কামাল হোসেন। তিনি বলেন, একাধিক অগ্নিকাণ্ডে নিরীহ মানুষের জীবনের মূল্যের বিনিময়ে ঝুঁকির অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হচ্ছে। এ অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে হবে। বহুতল ভবনের ঝুঁকি এখন সবাই বুঝতে পেরেছে। চকবাজার বা বনানীর মতো একটি ঘটনা যেন দেশে আর না ঘটে। সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

আইন প্রয়োগ না করা ও আইনের বৈষম্যপূর্ণ প্রয়োগকে বর্তমান পরিস্থিতির জন্য দায়ী করেন পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, বনানীর ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অথচ ভবন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়নি। রাজউক এখন ঝুঁকি–বাণিজ্য শুরু করে দেবে। তারা ভবনের ঝুঁকি খুঁজতে অভিযান চালাচ্ছে, কিন্তু ভাবনকে ঝুঁকিমুক্ত রাখতে কোনো নির্দেশনা দিচ্ছে না।

রেজওয়ানা হাসান আরও বলেন, লোভ আর অব্যবস্থাপনার কাছে মানুষ জিম্মি হয়ে পড়েছে। দেশের সার্বিক ব্যবস্থাই এমন হয়ে পড়েছে। সব ক্ষেত্রেই জবাবদিহির একটি অভাব আছে। চলমান উন্নয়ন শুধু অনিয়ন্ত্রিত নয়, ঝুঁকিপূর্ণ হচ্ছে। আত্মঘাতী উন্নয়ন হচ্ছে।

এর আগে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হাসমত্তুজ্জামান। প্রবন্ধে বলা হয়, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জন্য আলাদা আলাদা বিধিমালা রয়েছে। ভবন নির্মাতারা এসব বিধি ও বিদ্যমান আইন যথাযথভাবে মানেন না। তাই সবদিক সমন্বয় করার জন্য বিল্ডিং কমিশন গঠন করার সুপারিশ করেন তিনি। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, মহসিন রশীদ প্রমুখ।