চবিতে আজও ছাত্রলীগের অবরোধ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ একাংশের অবরোধের কারণে আজ সোমবার দ্বিতীয় দিনও চলছে না ট্রেন ও শিক্ষক বাস। এতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল রোববার এই অবরোধের ডাক দেয় ছাত্রলীগের একটি অংশ।

গতকাল রাতে ছাত্রলীগের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিলুপ্ত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, ‘কালও (আজ সোমবার) আমাদের অবরোধ চলবে।’
আজ সকাল থেকে কোনো ট্রেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে ছেড়ে যায়নি।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর হেলাল উদ্দিন আহম্মদ প্রথম আলোকে বলেন, পরিবহন পুলে থাকা বেশির ভাগ যানবাহন অকেজো করে দেওয়া হয়েছে। এ কারণে শিক্ষক বাস ছেড়ে যেতে পারেনি। এ ছাড়া ট্রেনের হোস পাইপ কেটে দেওয়া হয়েছিল। তাই আজকেও ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় ছয় ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করা হয়। পরে তাঁদের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দেওয়া হয়। এ মামলায় কারাগারে থাকা ছয় ছাত্রলীগ কর্মীর মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহার, ২০১৫ সাল থেকে সব রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার, হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীরকে প্রত্যাহার ও প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে এ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়। ক্যাম্পাসে এ কর্মসূচির ডাক দেয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই উপদল বিজয় ও চুজ ফ্রেন্ড উইথ কেয়ার (সিএফসি)।

ছাত্রলীগ ও পুলিশ সূত্র জানায়, গতকাল ক্যাম্পাসে কর্মসূচি পালন করার সময় পুলিশের সঙ্গে কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় অন্তত ৮ জন আহত হন। এ ছাড়া ঘটনাস্থল থেকে ২ ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করে পুলিশ।

দুর্ভোগে শিক্ষার্থীরা
সকালে নগরের ষোলোশহর রেল স্টেশনে গিয়ে শতাধিক শিক্ষার্থীকে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়। এ সময় কাজরী বড়ুয়া নামের এক শিক্ষার্থী প্রথম আলোকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার অন্যতম প্রধান মাধ্যম এই শাটল ট্রেন। কিন্তু ছাত্রলীগের অবরোধে তা বন্ধ। গুরুত্বপূর্ণ ক্লাস ও ল্যাব রয়েছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে হবে। কিন্তু ট্রেন না চলায় দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। ষোলোশহর থেকে অন্য গাড়ি পাওয়াও মুশকিল। অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থী একই কথা বলেন।

চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, আজও ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।