ফেনীর সেই মাদ্রাসাছাত্রীর অবস্থা সংকটাপন্ন

ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের অভ্যর্থনাকক্ষের মেঝেতে ছাত্রীর স্বজনদের আহাজারি। ফাইল ছবি
ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের অভ্যর্থনাকক্ষের মেঝেতে ছাত্রীর স্বজনদের আহাজারি। ফাইল ছবি

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ফেনীর সোনাগাজীর নির্যাতনের শিকার সেই মাদ্রাসাছাত্রীর (১৮) অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন। হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আবুল কালাম আজ সোমবার প্রথম আলোকে এ কথা জানান।

অধ্যাপক আবুল কালাম বলেছেন, ‘মেয়েটির অবস্থা ভালো না। তাঁর ফুসফুস ঠিকভাবে কাজ করছে না। শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে।’

গত শনিবার সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় আলিম পরীক্ষা দিতে গেলে কৌশলে মেয়েটিকে ছাদে ডেকে নিয়ে গিয়ে মেয়েটির গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় অধ্যক্ষের অনুগত কয়েকজন শিক্ষার্থী। গত ২৭ মার্চ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে মামলা করেন মেয়েটির মা। মামলা প্রত্যাহারে রাজি না হওয়ায় ছাত্রীটির গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ওই দিনই গুরুতর আহত অবস্থায় ওই মাদ্রাসা ছাত্রীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।

আজ অধ্যাপক আবুল কালাম বলেন, ‘এমনিতেই ওই শিক্ষার্থীর শরীরের ৭৫ শতাংশের বেশি পোড়া ছিল। আজ অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় তাঁকে লাইফ সাপোর্টে দেওয়া হয়েছে।’

ছাত্রীর গায়ে আগুন দিয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলাকে গতকাল সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ওই মাদ্রাসার শ্রেণি কার্যক্রম।