বিরাজনীতিকরণের অপচেষ্টা চলছে: ২০-দলীয় জোট

গুলশানে সোমবার রাতে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জোটের বৈঠক হয়। ছবি: সংগৃহীত
গুলশানে সোমবার রাতে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জোটের বৈঠক হয়। ছবি: সংগৃহীত

দেশে ভোটারবিহীন নির্বাচনের সংস্কৃতি সরকার চালু করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোট। গতকাল সোমবার রাতে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জোটের বৈঠকে নেতারা এই অভিযোগ করেন। তাঁরা অভিযোগ করেন, সরকার দেশের মানুষকে ভোটবিমুখ ও বিরাজনীতিকরণের অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে ওই বৈঠকে জামায়াতে ইসলামীসহ জোটের প্রায় সব দলের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। গত রাত নয়টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টা বৈঠক হয়।

বৈঠক সূত্র জানায়, গণতন্ত্র পুনর্বহাল এবং বিএনপির চেয়ারপারসন কারাবন্দী খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও তাঁর মুক্তির দাবিতে জোটগতভাবে এবং শরিক দলগুলো পৃথকভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে। এ ছাড়া সরকারের বাইরে থাকা অন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করার বিষয়েও উদ্যোগ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক নেতা জানান, ২০-দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ঐক্য ধরে রাখার ব্যাপারে বিএনপির পক্ষ থেকে বৈঠকে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়। বিএনপির মহাসচিব দেশের বর্তমান অবস্থাকে চরম ক্রান্তিকাল বলে উল্লেখ করে জোটের শরিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।

বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও জোটের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘২০ দল ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে কোনো টানাপোড়ন নেই। আমরা পাশাপাশি আন্দোলন–সংগ্রাম চালিয়ে যাব।’

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির রেদোয়ান আহমেদ, খেলাফত মজলিসের আহমেদ আবদুল কাদের, জামায়াতে ইসলামীর আবদুল হালিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের নূর হোসাইন কাশেমী, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।

বিএনপির দুই নেতা কারাগারে
এদিকে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম হিলালী ও আমিনুল ইসলামকে গতকাল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। তাঁরা বিস্ফোরক ও নাশকতার দুটি মামলার হাজিরা দিতে গেলে আদালত তাঁদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠান।

গতকাল এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল দলের দুই নেতাকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তিনি অভিযোগ করেন, মানুষ যাতে অন্যায়ের প্রতিবাদ না করে সে জন্য সরকার হামলা, মামলা ও গ্রেপ্তার বৃদ্ধি করেছে।