স্থগিতের আবেদন ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের দুই শিক্ষককে অধ্যাপক পদে দেওয়া পদোন্নতি স্থগিত চেয়ে অপর দুই শিক্ষকের করা আবেদন ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ দুই শিক্ষকের করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।

জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘিত হবে দাবি করে হাইকোর্টে ওই আবেদন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক নাজমুল হাসান তালুকদার ও রেজাউল করিম তালুকদার। আদালতে তাঁদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনিরুজ্জামান রানা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।

মনিরুজ্জামান রানা প্রথম আলোকে বলেন, সহযোগী অধ্যাপক ফারহানা আক্তার ও হিমেল বরকতকে অধ্যাপক পদে দেওয়া পদোন্নতি স্থগিত চেয়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি উপাচার্য বরারবে আবেদনটি করেন অধ্যাপক নাজমুল হাসান তালুকদার ও রেজাউল করিম তালুকদার। এতে জ্যেষ্ঠতা বহাল রাখার আরজি জানানো হয়। আবেদনটি ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে উপাচার্যকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আবেদনকারীপক্ষ জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ৩০৩তম সভায় সহযোগী অধ্যাপক থেকে নাজমুল হাসান তালুকদার ও রেজাউল করিম তালুকদার অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়। ২০১৮ সালের ৭ নভেম্বর ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেদিন থেকে ওই পদোন্নতি কার্যকর হবে বলা হয়।

তবে চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ৩০৪তম সভায় সহযোগী অধ্যাপক থেকে অধ্যাপক পদে ফারহানা আক্তার ও অধ্যাপক হিমেল বরকতকে পদোন্নতির সিদ্ধান্ত হয়, যা ২০১৮ সালের ৪ জুন থেকে কার্যকর হবে বলা হয়। এতে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘিত হবে দাবি করে এই সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে নাজমুল হাসান তালুকদার ও রেজাউল করিম তালুকদার চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে হাইকোর্ট রিট করেন।

আইনজীবী সূত্র বলেছে, রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ১৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুল দেন। রুলে সিন্ডিকেট সভায় ১৮ জানুয়ারি দুজনকে দেওয়া পদোন্নতি ও পদোন্নতির ভূতাপেক্ষ কার্যকারিতার সিদ্ধান্ত কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সহ-উপাচার্য শিক্ষা, সহ-উপাচার্য প্রশাসন, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার, সিন্ডিকেট সভার সচিব, বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যানসহ ১১ বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। এই রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জ্যেষ্ঠতা বহাল রাখতে ওই দুজনের পদোন্নতি স্থগিত চেয়ে রিট আবেদনকারী দুই শিক্ষক উপাচার্য বরাবরে ওই আবেদনটি করেন। তবে এতে ফল না পেয়ে ওই সম্পূরক আবেদনটি করেন।