শ্যালিকাকে হত্যার দায়ে ভগ্নিপতির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ

চট্টগ্রামে শ্যালিকাকে হত্যার দায়ে ভগ্নিপতিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আসামির নাম মো. শাহপরান। আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক আদুল আলিম এই রায় দেন। একই সঙ্গে আদালত শাহপরানের সহযোগী নাছির উদ্দিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেন। দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত দুই আসামি জামিনে গিয়ে পলাতক রয়েছেন।

আদালত সূত্র জানায়, ফটিকছড়ির ভুজপুরের দেলোয়ারা বেগম নামের এক নারীকে বিয়ে করেন শাহপরান। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য মারধর করলে তিনি বাপের বাড়িতে চলে আসেন। বিয়ের দুই মাস পর স্বামীর নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে স্বামীকে তালাক দেন দেলোয়ারা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ২০১০ সালের ১ এপ্রিল স্বামী শাহপরান রাতে ঘরের দরজা ভেঙে শ্বশুরবাড়িতে ঢোকেন। সাবেক স্ত্রী দেলোয়ারাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। চিৎকার শুনে ঘুম থেকে উঠে যায় পরিবারের সদস্যরা। একপর্যায়ে ১০ বছর বয়সী শ্যালিকা ফারহানা ইয়াসমিনের পেটে ছুরিকাঘাত করা হয়। ঘটনাস্থলে তার নাড়িভুঁড়ি বেরিয়ে যায়। হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক শিশু ফারহানাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় নিহত শিশুর মা আনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ দুজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি মো. আইয়ুব খান প্রথম আলোকে বলেন, নয়জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আদালত শ্যালিকাকে হত্যার দায়ে ভগ্নিপতিকে ফাঁসির আদেশ এবং তাঁর সহযোগী নাছিরকে যাবজ্জীবন ও অর্থদণ্ড দেন। দুজনই পলাতক।

রায়ের আদেশে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে আনোয়ারা বেগম প্রথম আলোকে জানান, এই রায় যেন বহাল থাকে। পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারের পর যেন ফাঁসি কার্যকর হয়।