আমে রাসায়নিক ব্যবহার ঠেকাতে বাগানে থাকবে পুলিশ

রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহার রোধে রাজশাহীর বড় আমবাগানে আগামী সাত দিনের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েনে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার ও পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজির প্রতি এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক আবেদনের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন।

মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) ৭ এপ্রিল ওই আবেদন করে, যার ওপর আজ শুনানি হয়। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম সাইফুল আলম।

ওই দুই বিবাদীকে নির্দেশনা বাস্তবায়ন বিষয়ে ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে বলে জানান আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমসহ বিভিন্ন ফলে রাসায়নিক পদার্থ মেশানো ও এর ব্যবহার রোধে সারা দেশের ফলের বাজার ও আড়ত পর্যবেক্ষণে পর্যবেক্ষণ দল গঠন করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশের মহাপরিদর্শক, বিএসটিআই ও র‍্যাবের মহাপরিচালকসহ চার বিবাদীকে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা বাস্তবায়নের বিষয়ে ৩০ দিনের মধ্যে চার বিবাদীকে আদালতে প্রতিবেদনও দিতে বলা হয়েছে।’

আমসহ বিভিন্ন ফল পাকাতে বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য, যেমন: কারবাইড (ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম) মেশানো বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়ে নয় বছর আগে হাইকোর্টে রিট করে এইচআরপিবি। এর পরিপ্রেক্ষিতে হওয়া রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১২ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট কয়েক দফা নির্দেশনাসহ রায় দেন। রায়ে রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে ফল পাকানো ও বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ ধারায় মামলা করতে ও ফলে রাসায়নিক পদার্থ মেশানো ও বাজারজাতকরণ বন্ধে ফলের আড়ত ও বাজারগুলো সময়ে সময়ে পর্যবেক্ষণ করতে বলা হয়। বিষয়টি চলমান তদারকিতে থাকবে বলেও রায়ে বলা হয়।

এর পরিপ্রেক্ষিতে আমের মৌসুম সামনে রেখে রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহার রোধে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে এইচআরপিবির পক্ষে আবেদনটি করা হয় বলে জানান আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।