আ.লীগ জনগণের সঙ্গে তামাশায় লিপ্ত

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। ফাইল ছবি
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। ফাইল ছবি

বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেছেন, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার আজ প্রশ্নবিদ্ধ। ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের সঙ্গে তামাশায় লিপ্ত হয়েছে।

সিপিবি বগুড়া জেলা শাখা আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন সেলিম। শহরের সাতমাথায় আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ সভা হয়।

বগুড়া জেলা সিপিবি সভাপতি জিন্নাতুল ইসলাম সভায় সভাপতিত্ব করেন।

সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে মসনদ দখলের স্বৈরশাসক এরশাদ জাতির ঘাড়ে চেপে বসেছিলেন। ১৯৯০ সালে গণ–আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচার পতন হলো। গণতন্ত্র ফিরে এল। কিন্তু ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সেই এরশাদকেই কাছে টেনে নিলেন হাসিনা-খালেদা।

সেলিম বলেন, ক্ষমতায় টিকে থাকা আর স্বার্থের প্রশ্নে এই দুই দলের আদর্শগত কোনো পার্থক্য নেই। দুই দলই মুক্তবাজার অর্থনীতি বিশ্বাস করে। মানুষের ভোটাধিকার হরণ, হল বাণিজ্য, সিট বাণিজ্য, বদলি বাণিজ্য, মনোনয়ন বাণিজ্যেও দুই দলের মিল রয়েছে। দুই দলেই টাকাওয়ালা ও পেশিশক্তির লোক দিয়ে ভরে গেছে।

মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, আগে ব্যবসায়ীরা রাজনীতিবিদদের টাকা দিতেন, রাজনীতি করার জন্য। এখন রাতারাতি রাজনীতিবিদ বনে যাওয়ার জন্য নিজেরাই টাকা খরচ করেন। দেশে এখন দুই ধরনের রাজনীতি বিরাজ করছে। হালুয়ারুটির রাজনীতি আর আদর্শের রাজনীতি। সিপিবি হলো আদর্শের রাজনীতির একমাত্র দল। মাওলানা ভাসানী, কর্নেল তাহের, ন্যাপের মোজাফফর, কমরেড মণি সিংহয়ের আদর্শের অনেক ত্যাগী অনুসারী রয়েছেন। ভোট লুটেরা, ধনী ও পুঁজিবাদি অপশক্তির বিরুদ্ধে আদর্শবাদীদের সব শক্তি ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

সেলিম বলেন, আদর্শহীন দল দিয়ে এ দেশের গরিব মেহনতি মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়িত হবে না। স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি জামায়ত-শিবিরের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড দৃশ্যমান না হলেও এখনো তারা নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। এদের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে সচেতন হতে হবে।

সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ জহির চন্দন, প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহীন রহমান, মিহির ঘোষ, বগুড়া জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ফরিদ প্রমুখ আজকের সভায় বক্তব্য দেন।