ময়মনসিংহ সিটিতে আ. লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারবে জাপা?

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয়ভাবে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির (জাপা) দুই প্রার্থী মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। স্বতন্ত্রভাবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আরও তিনজন। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে একজন জাতীয় পার্টির মনোনয়নবঞ্চিত। নির্বাচনে বিএনপিসহ অনেক দল অংশ নিচ্ছে না। এ অবস্থায় শক্তিশালী আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাপা কতটুকু প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. ইকরামুল হক ও জাপার প্রার্থী জাহাঙ্গীর আহমেদ। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আছেন আবু মো. মুসা সরকার, বিশ্বজিৎ ভাদুড়ী ও শহিদুল ইসলাম (স্বপন মণ্ডল)। আবু মো. মুসা সরকার ময়মনসিংহ জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।

জাতীয় পার্টি সূত্রে জানা যায়, মুসা সরকার দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় দলের অনেক কর্মী তাঁর সঙ্গে আছেন। এ ছাড়া নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলীয়ভাবে খুব বড় ঐক্য গড়ে তোলার উদ্যোগ জাতীয় পার্টির মধ্যে নেই।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাপার এক নেতা প্রথম আলোকে বলেন, মেয়র পদে জাপার প্রার্থীর নির্বাচন নিয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে এখনো কোনো নির্দেশ আসেনি। কেন্দ্রীয় নির্দেশ ছাড়া নেতা-কর্মীরা তেমন সক্রিয়ভাবে কাজ করবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে। এমনকি শেষ পর্যন্ত জাপার প্রার্থী যদি মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন, তাতেও তিনি অবাক হবেন না।

জাপার মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আহমেদের মুঠোফোনে গতকাল কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

জাপা সূত্রে আরও জানা যায়, নির্বাচন করার লক্ষ্যে আবু মো. মুসা সরকার সিটি করপোরেশন ঘোষণার পর থেকে প্রায় দুই বছর ধরে গণসংযোগ করে আসছেন। তিনি দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। দলের অনেক নেতা-কর্মীই তাঁর সঙ্গে কাজ করবেন।

আবু মো. মুসা সরকার বলেন, ‘জাপার বৃহৎ অংশই আমার সঙ্গে আছে। আমি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকব। বিলুপ্ত পৌরসভার সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হওয়ায় সিটি করপোরেশন এলাকায় আমার অনেক সমর্থক আছে। তাঁদের প্রত্যাশার কারণে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি।’ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ করার বিষয়ে কিছুটা উদ্বেগ প্রকাশ করে মুসা সরকার বলেন, শতকরা ৫ থেকে ১০ ভাগ ভোটার ইভিএম সম্পর্কে জানেন। নির্বাচনের আগে ভোটারদের জন্য প্রশিক্ষণ প্রয়োজন।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, নির্বাচন নিয়ে অনেকটাই নির্ভার আওয়ামী লীগ। দলীয় প্রার্থী ইকরামুল হক সহজেই জয় পাবেন বলে নেতা-কর্মীরা আত্মবিশ্বাসী। তারপরও শেষ পর্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের গুরুত্ব দিয়ে মাঠে থাকবে আওয়ামী লীগ।

ইকরামুল হক প্রথম আলোকে বলেন, দলীয়ভাবে জাতীয় পার্টির প্রার্থী অংশ নিয়েছেন। এ ছাড়া তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থীও আছেন। সবাই শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী। ভোটাররাই মেয়র নির্বাচন করবেন। দীর্ঘ সময় ধরে মানুষের পাশে আছেন তিনি। জনগণ তাঁকে ভোট দেবে বলে তিনি আশাবাদী।