জাহালমকে দেখতে চান হাইকোর্ট

জাহালম।  ফাইল ছবি
জাহালম। ফাইল ছবি

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় তিন বছর জেল খাটা নিরীহ জাহালমকে দেখতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অমিত দাশ গুপ্ত আজ বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, জাহালমের দিন কাটছে কেমন, তা জানতে চান হাইকোর্ট। আদালত তাঁকে বলেছেন, আগামী শুনানির তারিখে জাহালমকে হাজির করার জন্য। সেদিন তিনি জাহালমকে হাজির করবেন।

সোনালী ব্যাংকের সাড়ে ১৮ কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতি-সংক্রান্ত ৩৩টি মামলার সব কাগজপত্র হাইকোর্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল আজ। তবে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান আদালতকে জানান, সব কাগজপত্র এখনো প্রস্তুত হয়নি। এ জন্য আদালতের কাছে সময় চান দুদকের এই আইনজীবী। আগামী বুধবার শুনানির নতুন দিন নির্ধারণ করেন বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।

জাহালম আজ তাঁর বড় ভাই শাহানূরকে নিয়ে সকালে হাইকোর্টে আসেন। তবে শুনানির সময় তিনি আদালতের বাইরে ছিলেন। শুনানি শেষে জাহালমের কাছে সাংবাদিকেরা জানতে চান, তাঁর দিন কাটছে কেমন? জবাবে জাহালম বলেন, বিনা দোষে জেল খাটার সময় তাঁর পরিবার ঋণগ্রস্ত হয়ে যায়। এখন দেনাদারদের যন্ত্রণায় অস্থির। তিনি ক্ষতিপূরণ চান।

এর আগে গত ৬ মার্চ হাইকোর্ট সোনালী ব্যাংকের সাড়ে ১৮ কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতি-সংক্রান্ত ৩৩টি মামলার সব কাগজপত্র দুর্নীতি দমন কমিশনকে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। আদালত সেদিন বলেছিলেন, ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় কতজন ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে? আমরা সব দেখব। দুদক যখন জানতে পারল জাহালম নির্দোষ তখন তাঁর জামিন করানো উচিত ছিল।

গত ৩০ জানুয়ারি প্রথম আলোয় ‘স্যার, আমি জাহালম, সালেক না’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই দিনই প্রতিবেদনটি বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অমিত দাশ গুপ্ত। শুনানি নিয়ে আদালত জাহালমের আটকাদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে স্বতঃপ্রণোদিত রুল জারি করেন। একই সঙ্গে নিরীহ জাহালমের গ্রেপ্তারের ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে দুদক চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি, মামলার বাদী দুদক কর্মকর্তা, স্বরাষ্ট্রসচিবের প্রতিনিধি ও আইনসচিবের প্রতিনিধিকে ৩ ফেব্রুয়ারি সশরীরে আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।