'চাঁদা না পেয়ে' ডিশের সংযোগ কাটল দুর্বৃত্তরা

চাঁদা না পেয়ে দক্ষিণখানের মুজিবর মার্কেট এলাকার কেব্‌ল অপারেটর তায়েবা সিটি কেব্‌ল নেটওয়ার্কের সংযোগ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

প্রতিষ্ঠানটির মালিক ইয়াসিন আলী বলেন, তাঁর কাছে প্রতি মাসে ২ লাখ টাকা করে চাঁদা দাবি করে আসছিলেন দুই ব্যক্তি। চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় ওই দুই ব্যক্তির লোকজন রাতের অন্ধকারে তার কেটে দেয়। এ ছাড়া বিভিন্ন যন্ত্রপাতিও লুট করেছে। এতে ৮০০ গ্রাহকের সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও প্রায় দেড় লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তিনি জানান, গত শুক্রবার রাত থেকে তার কাটা শুরু হয়। গত রোববার রাতেও তার কাটে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত তাঁরা প্রায় ৫০০টি সংযোগ আবার চালু করেছেন।

ফায়দাবাদ মুজিবর মার্কেটসংলগ্ন ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কার্যালয় থেকে ফায়দাবাদ পশ্চিমপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত তায়েবা সিটি কেব্‌ল নেটওয়ার্কের গ্রাহক আছেন। গত সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়, ছাপরা মসজিদ এলাকা, ফায়দাবাদ মধ্যপাড়া ও ফায়দাবাদ প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকার বিভিন্ন স্থানে ডিশ সংযোগের কেব্‌ল ছোট ছোট করে কেটে রাস্তায় ফেলে রাখা। বিদ্যুতের খুঁটিতে কেব্‌ল সংযোগের বক্সগুলোও খোলা, ভেতরে কিছু নেই।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শুক্রবার রাত থেকে বিভিন্ন এলাকায় ডিশের সংযোগ বন্ধ হয়ে যেতে থাকে। প্রথমে তাঁরা মনে করেছিলেন কেব্‌ল অপারেটরের সমস্যা। কেব্‌ল অপারেটরের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁরা সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার বিষয়টি জানতে পারেন।

বিষয়টি দক্ষিণখান থানায় জানিয়েছেন কেব্‌ল অপারেটর। পরে থানার উপপরিদর্শক মো. সুজন হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, ইয়াসিন আলীর ডিশ সংযোগের কিছু তার কেটে ফেলা হয়েছে। ব্যবসা নিয়ে সেখানে দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব থাকতে পারে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকেও বিষয়টি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত কেব্‌ল অপারেটর। তিনি বলেন, কাউন্সিলর ঢাকার বাইরে আছেন। ফিরে এসে এ নিয়ে আলোচনার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

কাউন্সিলর মো. মোতালেব মিয়া বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। তবে সত্য-মিথ্যা কিছুই জানি না। এলাকায় ফিরে ঘটনার সত্যতা পেলে দুই পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসব।’

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে অভিযুক্ত দুই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাঁদের পাওয়া যায়নি।