আগামী সংসদ নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহারের পরিকল্পনা

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুরোপুরি না হলেও অন্তত ৫০ ভাগ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বুধবার কমিশনের বৈঠক শেষে ইসির সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সংবাদ ব্রিফিংয়ে এই কথা বলেন।

আজ বেলা তিনটায় কমিশনের বৈঠক বসে। বৈঠকে আলোচনার বিষয় ছিল সব ধরনের নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা।

নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সচিব বলেন, ‘এখন থেকে সব সিটি করপোরেশন ও পৌর নির্বাচন ইভিএমের মাধ্যমে করা হবে। ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলার ক্ষেত্রে যেখানে বিদ্যুৎ ও যোগাযোগব্যবস্থা ভালো পাওয়া যাবে, সেখানে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। এ ছাড়া আগামী সংসদ নির্বাচনে শতভাগ না হলেও অন্তত ফিফটি পারসেন্ট আসনে ইভিএম ব্যবহার করার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘আমরা ৩ হাজার ৮২৫ কোটি টাকার একটা প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা দেড় লাখ ইভিএম সংগ্রহ করেছি। এগুলো তো সংগ্রহ করে রাখার জন্য নয়। জাতীয় নির্বাচনের আগেই প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহে এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল। সরকার বলেছে, সব জায়গায় প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। সুতরাং নির্বাচন কমিশনেও এটা ব্যবহার করা হোক। এতগুলো ইভিএম আছে, কেন আমরা তা ব্যবহার করব না।’ ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিএমটিএফ (মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি) মেশিনগুলো ইসিকে সরবরাহ করেছে বলে সচিব জানান।

এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন আছে কি না, তা জানতে চাইলে হেলালুদ্দীন বলেন, ‘সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়টি এখনো শিওর না। এটা আমাদের পরিকল্পনায় আছে। এর জন্য অবশ্যই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার দরকার আছে।’

সচিব আরও বলেন, সব ধরনের নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। প্রযুক্তি ব্যবহারের সুবিধা হলো দ্রুত ফলাফল পাওয়া যায়। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে প্রচলিত যে অনিয়মগুলো হয়, সেটা আর হবে না, ভোটারদের আস্থাটা বাড়বে। সচিব জানান, কাল থেকে এক মাসব্যাপী ভারতে যে লোকসভা নির্বাচন হবে, সেখানেও ইভিএমের মাধ্যমে ভোট হবে।

নির্বাচনে ট্যাবের ব্যবহার বিষয়ে হেলালুদ্দীন বলেন, উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে চারটি উপজেলায় ট্যাব ব্যবহার করা হয়েছে। সেখানে দুটি উপজেলার ফল দ্রুত পাওয়া গেছে। দুটি উপজেলায় সমস্যা হয়েছে। সে কারণে চতুর্থ ধাপের ছয়টি উপজেলায় এটি ব্যবহার করা হয়নি। ট্যাবের সফটওয়্যার আরও উন্নত করার প্রয়োজন আছে। এগুলো ঠিক করার জন্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে অনুরোধ করা হয়েছে। তারা এটি ঠিক করে দেবে।

এখন থেকে যেসব জায়গায় ইভিএম ব্যবহার করা হবে, সেখানেই ট্যাব ব্যবহার করা হবে বলে সচিব জানান। তিনি বলেন, ট্যাব যাতে সঠিকভাবে কাজ করে, সে জন্য ইন্টারনেটের গতি বাড়িয়ে দিতে বিটিআরসিকে অনুরোধ জানানো হবে।