খাগড়াছড়িতে বৈসাবি উৎসবের উদ্বোধন

মারমাদের সাংগ্রাই উৎসব উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার চার দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। এ সময় মারমা নৃত্যশিল্পীরা ঐতিহ্যবাহী ছাতানৃত্য পরিবেশন করে। ছবিটি খাগড়াছড়ি শহরের পানখাইয়াপাড়া বটতলা এলাকা থেকে তোলা। ছবি: নীরব চৌধুরী
মারমাদের সাংগ্রাই উৎসব উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার চার দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। এ সময় মারমা নৃত্যশিল্পীরা ঐতিহ্যবাহী ছাতানৃত্য পরিবেশন করে। ছবিটি খাগড়াছড়ি শহরের পানখাইয়াপাড়া বটতলা এলাকা থেকে তোলা। ছবি: নীরব চৌধুরী

খাগড়াছড়িতে আজ বৃহস্পতিবার বর্ণাঢ্য আয়োজনে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসাবি উৎসবের উদ্বোধন করা হয়েছে। সকালে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান ও সাংসদ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।

এরপর পরিষদের প্রাঙ্গণ থেকে বর্ণিল পোশাকে বিভিন্ন বয়স ও জাতি-গোষ্ঠীর হাজারো নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শুরু হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পৌর টাউন হল প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রা শেষে টাউন হল প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয় পাহাড়িদের ঐতিহ্যবাহী নৃত্য।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হামিদুল হক, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুরজ্জামান, জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামানসহ উচ্চ পদস্থ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বৈসাবি উৎসবের মধ্য দিয়ে পাহাড়ে সম্প্রীতির বন্ধন আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘পাহাড়ে কেউ অশান্তি চাই না। আমরা একই ছাতার নিচে একই মায়ের সন্তান হিসেবে বসবাস করতে চাই।’

আগামীকাল শুক্রবার নদীতে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে শুরু হবে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসাবি।