প্রেমের নামে প্রতারণা, পল্লি চিকিৎসক গ্রেপ্তার

চিকিৎসা নিতে আসা প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন পল্লি চিকিৎসক পার্থ কীর্তনিয়া (২৭)। পরে ফাঁদে ফেলে ভিডিও করেন তাঁদের অন্তরঙ্গ দৃশ্য। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে গৃহবধূর কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে টাকা আদায় করেছেন ওই চিকিৎসক।

এসব অভিযোগে পার্থ কীর্তনিয়াকে (২৭) গ্রেপ্তার করেছেন র‌্যাব-৮–এর মাদারীপুর ক্যাম্পের সদস্যরা। গত বুধবার বিকেলে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট বন্দরে ইউএস মডেল হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পার্থ উপজেলার বৈলগ্রাম এলাকার সুভাষ কীর্তনিয়ার ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে র‌্যাব বাদী হয়ে পর্নোগ্রাফি আইনে রাজৈর থানায় একটি মামলা করেছে।

র‌্যাব সূত্রে জানা যায়, প্রায় এক বছর আগে গোপালগঞ্জ থেকে এক প্রবাসীর স্ত্রী তাঁর শিশুসন্তানকে নিয়ে টেকেরহাটে জননী ডিল্যাবে চিকিৎসা নিতে যান। তিনি পল্লি চিকিৎসক পার্থ কীর্তনিয়ার কাছে চিকিৎসা নেন। পার্থ কৌশলে প্রবাসীর স্ত্রীর মুঠোফোন নম্বর সংগ্রহ করেন।

পরে তিনি বিভিন্ন সময়ে তাঁকে ফোন করেন। পার্থ প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে গড়ে তোলেন শারীরিক সম্পর্ক। কৌশলে সেসব দৃশ্য ভিডিও করেন। ভিডিও চিত্র ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ওই প্রবাসীর স্ত্রীর কাছ থেকে প্রায় ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন পার্থ। দুই মাস আগেও তিনি ওই প্রবাসীর স্ত্রীর কাছে ৫০ লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে ধারণ করা ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেন পার্থ। পরে ওই গৃহবধূ র‍্যাবের কাছে অভিযোগ করেন।

র‌্যাব-৮–এর মাদারীপুর ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক মো. রইছ উদ্দিন বলেন, অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ওই পল্লি চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করে তাঁকে রাজৈর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।