ছাত্রীকে ধর্ষণের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি প্রধান শিক্ষকের

ফেনীর দাগনভূঞায় পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মো. আবদুল করিম খান বাহাদুর। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম এ এস এম এমরানের আদালতে তিনি এ জবানবন্দি দেন।

দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালেহ আহম্মদ পাঠান ও আদালত সূত্র জানায়, গতকাল সকালে প্রধান শিক্ষক মো. আবদুল করিম খান বাহাদুরকে ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম এ এস এম এমরানের আদালতে হাজির করা হয়। আদালতের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ওই স্কুলছাত্রীকে গত কিছুদিনে একাধিকবার ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন। সর্বশেষ গত ২৮ মার্চ ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন তিনি। ছাত্রী তার পরিবার বা অন্য কাউকে বিষয়টি যেন না জানায়—সেজন্য তিনি নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছিলেন বলেও আদালতকে জানান।

দাগনভূঞা থানার ওসি মো. সালেহ আহম্মদ পাঠান বলেন, ৭ এপ্রিল ওই শিক্ষার্থী একই আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। গত শনিবার ও রোববার দুই দফায় ফেনী সদর হাসপাতালে ওই ছাত্রীর শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

ওসি মো. সালেহ আহম্মদ পাঠান আরও বলেন, ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ৪ এপ্রিল প্রধান শিক্ষককে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এর পরদিন ৫ এপ্রিল ওই ধর্ষণের ঘটনায় স্কুলছাত্রীর বড় বোন বাদী হয়ে দাগনভূঞা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। একই দিন গ্রেপ্তার শিক্ষক মো. আবদুল করিম খান বাহাদুরকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে পুলিশ আদালতে আবেদন জানায়। ৭ এপ্রিল রিমান্ড বিষয়ে শুনানি শেষে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত মঙ্গলবার বিকেলে প্রধান শিক্ষক আবদুল করিমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেওয়া হয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন। গতকাল ওই প্রধান শিক্ষককে আদালতে হাজির করা হলে তিনি জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে ঘটনার দায় স্বীকার করেন।