চুয়াডাঙ্গায় পুলিশের সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত ১

বন্দুকযুদ্ধ। প্রতীকী ছবি
বন্দুকযুদ্ধ। প্রতীকী ছবি

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে রুহুল আমীন (৪৮) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশের তিন সদস্য আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে একটি শুটারগান, দুটি গুলি, দুটি হাঁসুয়া ও এক বস্তা ফেনসিডিল উদ্ধারের দাবি করেছে পুলিশ।

গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের উকতো গ্রামে ওই বন্দুকযুদ্ধ হয়। পুলিশ বলছে, নিহত ব্যক্তি জেলার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অন্তত ১৫টি মামলা রয়েছে।

রুহুল আমীনের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার শান্তিপাড়ায়।

আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন উপপরিদর্শক (এসআই) একরাম হোসেন ও ভবতোষ রায় এবং কনস্টেবল আজাবুল হোসেন। তাঁদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। রুহুল আমীনের লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খানের ভাষ্য, গতকাল রাতে উকতো গ্রামের ভেতর দিয়ে মাদকের বড় চালান ঢোকার খবর পান তাঁরা। সদর থানার পুলিশের একটি দল স্থানীয় বাঁশবাগানে অবস্থান নেয়। দিবাগত রাত দুইটার দিকে সাত থেকে আটজনের একদল মাদক পাচারকারী ফেনসিডিলের বস্তা মাথায় নিয়ে ঢুকলে পুলিশ তাদের দাঁড়াতে বলে। এ সময় মাদক পাচারকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশ পাল্টা গুলি ছুড়লে সেখানে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। টানা ১৫ মিনিট বন্দুকযুদ্ধের পর মাদক পাচারকারীরা পিছু হটে। এ সময় একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায় এবং পাশ থেকে বস্তাভর্তি ফেনসিডিল, অস্ত্র, হাঁসুয়া ও গুলি উদ্ধার করা হয়।

আহত ব্যক্তিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। স্থানীয় লোকজন রুহুল আমীনকে শনাক্ত করেন। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসা কর্মকর্তা মশিউর রহমান জানান, রুহুল আমীনের মাথা, বুকের ডান ও বাঁ পাশে গুলির ক্ষত রয়েছে। আহত তিন পুলিশ সদস্যকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুর রহমান জানান, মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।