ধরমপাশায় একমাত্র সরকারি পানির পাম্পটি ৯ দিন ধরে বিকল

ধরমপাশা উপজেলা পরিষদ এলাকায় থাকা একমাত্র সরকারি পানির পাম্প। এটি বন্ধ আছে ৯ দিন ধরে। ছবি: প্রথম আলো
ধরমপাশা উপজেলা পরিষদ এলাকায় থাকা একমাত্র সরকারি পানির পাম্প। এটি বন্ধ আছে ৯ দিন ধরে। ছবি: প্রথম আলো

সুনামগঞ্জের ধরমপাশা উপজেলা পরিষদ এলাকায় থাকা একমাত্র সরকারি পানির পাম্পটি ৯ দিন ধরে বিকল হয়ে আছে। এতে উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সরকারি বিভিন্ন কোয়ার্টারে বসবাসরত পরিবারগুলো পানির অভাবে দুর্ভোগে পড়েছে। তাদের গোসলসহ অন্যান্য জরুরি কাজগুলো সারতে হচ্ছে আশপাশে থাকা পুকুর ও নলকূপ থেকে পানি সংগ্রহ করে।

উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের খানিকটা উত্তর-পূর্বে ১৯৮৫ সালে ওই পানির পাম্পটি নির্মাণ করা হয়েছিল। তবে বছর দু-এক ধরে মাঝেমধ্যেই সেটাতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিত। এতে বন্ধ হয়ে পড়ত পানির সরবরাহ। তবে সে সময় পাম্পটি স্থানীয়ভাবে মেরামত করে আবার চালু করা হতো। কিন্তু ৪ এপ্রিল সকালে সেটি পুরোপুরি বিকল হয়ে পড়ে। পাম্পটি বেশ কয়েকবার মেরামতের চেষ্টা করেও সচল করা যায়নি।

পাম্পটি দিয়ে উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তর, ধরমপাশা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত ভবন, উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন, গণমিলনায়তন, উপজেলা অফিসার্স ক্লাব, ডরমিটরি ভবন, নন গেজেটেড কর্মচারী ক্লাব, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারি বাসভবন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বাসভবনসহ সরকারি কোয়ার্টারগুলোতে পানি সরবরাহ করা হয়। যা এখন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে আছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের তড়িৎবিদ মো. খাইরুল ইসলাম বলেন, ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অনেক নিচে নেমে গেছে। ফলে এখন পাম্পটিতে পানির বদলে শুধু কাদা বের হয়। এ জন্য পাম্পটির ফিল্টার নষ্ট হয়ে স্থায়ীভাবে অকেজো হয়ে পড়েছে। এখন নতুন পাম্প বসানো ছাড়া বিকল্প উপায় নেই।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান বলেন, নতুন করে পানির পাম্প নির্মাণ করতে ৮-১০ লাখ টাকা লাগবে। এ বিষয়ে তিনি উপজেলা প্রকৌশলীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন। সমস্যাটি সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা চলছে।