স্বামীকে মারধরের পর স্ত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ

টাঙ্গাইলে স্বামীকে মারধর করে এক গৃহবধূকে তুলে নিয়ে কয়েক দফায় ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। টাঙ্গাইল নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গত শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় ওই নারীর স্বামী গতকাল শনিবার টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ জড়িত অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন টাঙ্গাইল সদরের কোদালিয়া এলাকার ইউসুফ রানা (২৫), মো. রবিন (২৫), তানজীরুল ইসলাম (২২), আটতলা মোড় এলাকার মো. মফিজ (২১), ইব্রাহিম (২০) ও দেওলা গ্রামের জাহিদুল ইসলাম (২১)। এ ঘটনায় হাসান সিকদার (২২) ও উজ্জ্বল (২৫) নামের দুজনকে খুঁজছে পুলিশ।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূকে নিয়ে তাঁর স্বামী শ্বশুরবাড়ি থেকে শুক্রবার রাতে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে টাঙ্গাইল নতুন বাসস্ট্যান্ডে গাড়ির অপেক্ষায় ছিলেন তাঁরা। এ সময় গ্রেপ্তারকৃত ছয়জনসহ আটজন গিয়ে ওই দম্পতিকে ভয়ভীতি দেখাতে শুরু করেন। দুর্বৃত্তরা প্রথমে গৃহবধূর স্বামীকে পাম্পের পেছনে নিয়ে মারধর করে তাঁর কাছে থাকা মুঠোফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেয়। স্বামীকে মারতে দেখে স্ত্রী এগিয়ে গেলে তাঁকে জোরপূর্বক পাম্পের পেছনে নির্জন জায়গায় নিয়ে ইউসুফ ধর্ষণ করেন। সেখান থেকে ভয় দেখিয়ে মোটরসাইকেলে করে গৃহবধূকে শহরের ডিসি লেকের পাশে নিয়ে রবিন ও ইউসুফ আবার ধর্ষণ করেন। এ সময় গৃহবধূর স্বামীকে রবিন ও ইউসুফের অন্য সহযোগীরা পাম্পের কাছেই আটকে রাখেন। পরে গৃহবধূর স্বামীকে পাম্প থেকে জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে উঠিয়ে নতুন বাসস্ট্যান্ডের অদূরে দেওলা নার্সারির সামনে নামিয়ে দিয়ে চলে যায় দুর্বৃত্তরা। সেখান থেকে ওই গৃহবধূকে সাবালিয়া এলাকার চোরজানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে নিয়ে আবারও ধর্ষণ করা হয়।

এদিকে স্ত্রীকে খুঁজে না পেয়ে গৃহবধূর স্বামী দেওলা নার্সারির পাশে টাঙ্গাইলের ২৫০ শয্যার হাসপাতাল গেট এলাকায় টহলরত পুলিশকে বিষয়টি জানান। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বারান্দা থেকে গৃহবধূকে উদ্ধার ও রবিনকে গ্রেপ্তার করে। পরে রবিনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে বাকি পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সায়েদুর রহমান বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁদের প্রত্যেককে ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করে গতকাল টাঙ্গাইলের আদালতে পাঠানো হয়েছে। টাঙ্গাইল ২৫০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য দুজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।