এসটিএসে আবর্জনা ফেলতে টাকা চাওয়ার অভিযোগ

কাছেই এসটিএস। কিন্তু হকাররা আবর্জনা ফেলছেন বাইরে। সম্প্রতি কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায়।  ছবি: প্রথম আলো
কাছেই এসটিএস। কিন্তু হকাররা আবর্জনা ফেলছেন বাইরে। সম্প্রতি কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায়। ছবি: প্রথম আলো

হাতের নাগালেই সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস)। দিন শেষে তবু দোকানের ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে এসটিএসের বাইরে আশপাশের খোলা জায়গায়, জলাশয়ে। ফলে এসটিএসের চারপাশে জমছে বর্জ্যের স্তূপ। এই অবস্থা কুড়িলের বিশ্বরোড এলাকায়।

বিশ্বরোড বাসস্ট্যান্ড রেলক্রসিং–সংলগ্ন এলাকার ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন, এসটিএসে আবর্জনা ফেলতে এলে তাঁদের কাছে টাকা চাওয়া হয়। এ কারণে তাঁরা দোকানের আবর্জনা এসটিএসে না রেখে আশপাশে ফেলে রাখছেন।

বাবুল হোসেন নামের একজন আখের রস বিক্রেতা বলেন, ‘আগে সারা দিন ব্যবসার পরে রাতের বেলা আখের ছোবড়াগুলো ডাস্টবিনেই ফেলে আসতাম। কিন্তু কয়েক মাস হয় আমার কাছে টাকা দাবি করেন এসটিএসের লোকেরা। টাকা না দেওয়াতে এখন সেখানে আর ময়লা ফেলতে পারি না।’ এসটিএসের সুপারভাইজার সোহেল তাঁর কাছে টাকা চেয়েছেন বলেও তিনি জানান।

ওই জায়গায় একজন ডাব বিক্রেতা বলেন, আগে এখানকার সবাই এসটিএসে গিয়ে নিজেদের দোকানের ময়লা ফেলে দিয়ে আসতেন। এখন সবাই বাইরে ময়লা ফেলেন। টাকা চাওয়ার কারণে দোকানিরা এমন করছেন বলেও তিনি জানান।

কুড়িলের বিশ্বরোড এলাকায় উড়ালসেতু নির্মিত হওয়ার পরে বিশ্বরোড বাসস্ট্যান্ড থেকে প্রগতি সরণিতে সরাসরি যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে বিশ্বরোড বাসস্ট্যান্ড ও লেভেল ক্রসিং দিয়ে এখনো মানুষের যাতায়াত আছে। বিশ্বরোড বাসস্ট্যান্ডে নেমে অনেকেই লেভেল ক্রসিং পার হয়ে কুড়িল, কুড়াতলী, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, জোয়ারসাহারায় যাতায়াত করেন।

লোকজনের যাতায়াত থাকায় ও প্রশাসনের নজরদারির আড়ালে হওয়ায় লেভেল ক্রসিংকে ঘিরে অর্ধশতাধিক ভ্রাম্যমাণ দোকান গড়ে উঠেছে। বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে ব্যবসায়ীরা দিনভর বেচাবিক্রি করছেন। ওই সব দোকানের ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে খালি জায়গায়, জলাশয়ে, রেললাইনের ধার ঘেঁষে।

এ বিষয়ে কথা বলতে গতকাল শনিবার দুপুরে এসটিএসে গেলে সুপারভাইজার মো. সোহেল মিয়াকে সেখানে পাওয়া যায়নি। ডিএনসিসি অঞ্চল-১–এর সহকারী প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মহসীনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।

এসটিএসে বর্জ্য ফেলতে টাকা চাওয়ার বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর জিন্নাত আলী বলেন, ‘কয়েক দিন আগে বিষয়টি আমার নজরে আসে। সরেজমিনে গিয়ে আমি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা আমার কাছেও ময়লা ফেলতে টাকা নেওয়ার বিষয়ে অভিযোগ করেছেন।’ তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমি সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মহসীনকে ডেকে সতর্ক করেছি। ভবিষ্যতে প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তবে এসব বিষয় সরাসরি প্রমাণ করা যায় না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।