চলন্ত ট্রেনে ঢিল নিক্ষেপ, স্কুলছাত্র আহত

সৈকত চক্রবর্তী
সৈকত চক্রবর্তী

সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী আন্তনগর পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনে আজ রোববার সকালে বাইরে থেকে ছোড়া ঢিলের আঘাতে সৈকত চক্রবর্তী (১০) নামের এক যাত্রী আহত হয়েছে। সে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া পৌর শহরের উপজেলা পরিষদ এলাকার বাসিন্দা স্কুলশিক্ষক রুপজ চক্রবর্তীর ছেলে। সে আনন্দ বিদ্যাপীঠ নামে স্থানীয় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। আহত সৈকতকে কুলাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

আহত শিক্ষার্থীর স্বজন ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ট্রেনটি সিলেট রেলস্টেশন থেকে সকাল ১০টা ২০ মিনিটে ছাড়ে। সিলেটে আত্মীয় বাড়িতে বেড়ানো শেষে রুপজ চক্রবর্তী তাঁর স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে ওই ট্রেনে করে কুলাউড়ায় ফিরছিলেন। ঝ নম্বর বগিতে তাঁদের আসন ছিল। মাইজগাঁও রেলস্টেশন ছাড়ার কিছু সময় পর চলন্ত ট্রেনের খোলা জানালা দিয়ে হঠাৎ করে আসা একটি পাথরখণ্ড সৈকতের মাথায় লাগে। এতে তার মাথা ফেটে রক্ত বেরোতে থাকে। পরে স্বজনেরা ক্ষতস্থানে কাপড়ের টুকরা বেঁধে রাখেন। কুলাউড়া জংশন রেলস্টেশনে পৌঁছার পর দ্রুত তাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। সৈকতের ক্ষতস্থানে তিনটি সেলাই লেগেছে।

সৈকতের বাবা রুপজ চক্রবর্তী বলেন, অল্পের জন্য তাঁর ছেলের চোখ রক্ষা পেয়েছে। চিকিৎসার পর ছেলেকে নিয়ে বাসায় ফিরে গেছেন।

এ ব্যাপারে সিলেটের রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা আফজাল হোসেন মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, মূলত রেললাইনের পাশে ঘোরাঘুরি করা উঠতি বয়সী ছেলেরা এ অপকর্ম করে থাকে। ট্রেনে ঢিল নিক্ষেপ না করতে প্রায়ই বিভিন্ন রেলস্টেশনে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম নেওয়া হয়। বিষয়টি তাঁরা খোঁজ নিয়ে দেখবেন।