সিলেটে নকশাবহির্ভূত ভবন করা যাবে না

সিলেট মহানগর এলাকায় নকশাবহির্ভূত কোনো ভবন নির্মাণ করতে দেওয়া হবে না। সিটি করপোরেশনের অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী ভবন নির্মাণ করতে হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

আজ সোমবার সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ দপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সিটি মেয়রের এই বিশেষ নির্দেশ জানানো হয়।

সিটি করপোরেশন এলাকার বাসিন্দা বাসাবাড়ির মালিকদের উদ্দেশে দেওয়া নির্দেশনায় মেয়র বলেন, এখন থেকে সিটি করপোরেশনের অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী ভবন নির্মাণ করতে হবে। এ ছাড়া ফায়ার সার্ভিস থেকে অনুমোদিত ফায়ার সেফটি প্ল্যান অনুযায়ী অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র, বিদ্যুৎ সতকর্তা যন্ত্র স্থাপন, অগ্নিনির্বাপণ সুবিধা ও সরঞ্জাম ব্যবহার উপযোগী রাখা, জরুরি সিঁড়ি নির্মাণ, বিল্ডিং কোড অনুযায়ী জরুরি সিঁড়ির প্রস্থ সঠিক রাখা, সিঁড়ির ফটক ও দরজা সব সময় খোলা রাখা ও সংকেত দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ভবনের নকশার অতিরিক্ত তলা নির্মাণ করা থেকে বিরত থাকা, ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা রাখাসহ অগ্নিনির্বাপণের জন্য অতিরিক্ত জলাধার তৈরি করে পর্যাপ্ত পানি সংরক্ষণ করতে হবে। পেশাজীবী প্রকৌশলীর মাধ্যমে ভবনের নকশা তৈরি করার বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। অগ্নিকাণ্ডসহ বিভিন্ন দুর্ঘটনার সময় ভবনের লিফট বন্ধ রাখা, অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী পর্যাপ্ত জায়গা ছেড়ে ভবন নির্মাণ করতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে মেয়র আরিফুল হক বলেন, সিলেট মহানগর এলাকা ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত। তাই মহানগরীর নাগরিকদের ভূমিকম্প প্রতিরোধ ব্যবস্থা রেখে ভবন নির্মাণ করতে হবে। নকশা অনুযায়ী সেপটিক ট্যাংকের সঙ্গে সোকওয়েল বাধ্যতামূলক। ভবন নির্মাণের সময় বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট সার্কিট এড়ানোর লক্ষ্যে মান অনুসরণ করে বিদ্যুৎ লাইন স্থাপন করা ও অভিজ্ঞ প্রকৌশলী দ্বারা পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে।

মেয়র বলেন, বাসাবাড়িতে ব্যবহারের জন্য এলপি গ্যাস সিলিন্ডার সতর্কতার সঙ্গে ক্রয় ও ব্যবহার করতে হবে। গ্যাস সিলিন্ডার মেয়াদোত্তীর্ণ কি না, তা ভালো করে দেখে নেওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত গ্যাসলাইন ও চুলা পরীক্ষা করাতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে বসবাস ও ব্যবসা-বাণিজ্য না করার পরামর্শ দেন মেয়র। সব শেষে বজ্রপাতনিরোধক ব্যবস্থা নিশ্চিত করার বিষয়ে বাসাবাড়ির মালিকদের দৃষ্টি দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।