গাজীপুরে শাশুড়িকে হত্যার অভিযোগে পুত্রবধূ আটক

গাজীপুর সিটির গজারিয়াপাড়া এলাকায় আলেয়া বেগম (৫০) নামের এক নারীকে খুনের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছেন র‍্যাব-১-এর সদস্যরা। গত রোববার গাজীপুরের কাপাসিয়া এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

নিহত নারীর পরিবারের দাবি, গাজীপুরের ন্যাশনাল পার্কের দোকান ব্যবসাকে কেন্দ্র করে নিজের ছেলের স্ত্রীর নেতৃত্বে খুন হন আলেয়া বেগম। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন আলেয়া বেগমের ছেলের স্ত্রী ইসরাত জাহান ওরফে লিজা (২৩) এবং তাঁর দুই মামা আমির হোসেন (৩৫) ও নূর হোসেন (৩২)।

গাজীপুরের পোড়াবাড়ীতে অবস্থিত র‍্যাব-১-এর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, নিহত আলেয়া বেগমের ছেলে আরিফ হোসেন। আসামি আমির হোসেন ও নুর হোসেন তাঁর মামাশ্বশুর। তাঁর মা গাজীপুর ন্যাশনাল পার্কে চাকরি করার সুবাদে পার্কের ভেতর বসবাস করতেন। পারিবারিক ও ন্যাশনাল পার্কের ভেতরের তাঁর দোকানকে কেন্দ্র করে বিরোধের জের থেকে ৯ এপ্রিল আলেয়া বেগম নিহত হন।

কোম্পানি কমান্ডার জানান, ঘটনার দিন বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে আলেয়া বেগম নিজের গরু আনার জন্য পাশের জঙ্গলে যান। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ওই সময়ে আসামিরা ওত পেতে ছিলেন। প্রথমে তাঁরা আলেয়া বেগমকে অপহরণ করে শ্বাস রোধ করেন। পরে গলা ও পেট কেটে তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করে লাশ জঙ্গলে লুকিয়ে রাখেন। ১১ এপ্রিল লাশটি বাড়ির পেছনে পরিত্যক্ত পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। ১২ এপ্রিল সেই লাশ উদ্ধার হয়। এ বিষয়ে আলেয়া বেগমের স্বামী জসিম উদ্দিন গাজীপুর সদর থানায় ওই তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

গাজীপুর সিটির ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোশারফ হোসেন বলেন, আলেয়া বেগম গত ৯ এপ্রিল বিকেলে মাঠ থেকে গরু আনার উদ্দেশ্য বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। সম্ভাব্য সব স্থানে তাঁকে খুঁজে না পেয়ে তাঁর স্বামী জসিম উদ্দিন ১০ এপ্রিল গাজীপুর মহানগরের সদর থানায় জিডি করেছেন। শুক্রবার দুপুরে এলাকাবাসী স্থানীয় একটি পুকুরে আলেয়ার লাশ দেখতে পেয়ে সদর থানা ও র‍্যাব অফিসে খবর দেন।

জসীম উদ্দীনের দাবি, প্রায় এক সপ্তাহ আগে ন্যাশনাল পার্কের দোকানের ব্যবসা নিয়ে শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে ইসরাত জাহানের কথা-কাটাকাটি হয়। পরে ইসরাত জাহান ওই দিন তাঁর মামা আমির হোসেন ও নূর হোসেনকে ডেকে নিয়ে আসেন। সেখানে তাঁরা জসিম উদ্দিন ও তাঁর স্ত্রী আলেয়াকে পার্কের দোকানের ব্যবসা ছেড়ে চলে যেতে বলেন। অন্যথায় খুন করার হুমকি দেন।