প্রথমবার মুচলেকা দিয়ে রেহাই, পার পেলেন না দ্বিতীয়বার
এর আগেও পুলিশের হাতে আটক হয়েছিলেন কাদের সরদার (৪০)। পরিবার মুচলেকা দেওয়ায় সেবার তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে এবার আর রেহাই পেলেন না তিনি। ছিনতাই করে পালানোর সময় প্রথমে স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়েন, এরপর পুলিশ গিয়ে তাঁকে আটক করে নিয়ে যায়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কাদেরকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানা-পুলিশ ও দৌলতদিয়া ঘাট সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আজ সোমবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে বরিশাল থেকে ঢাকাগামী একটি বাস রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাট থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে দীর্ঘ যানজটে আটকে ছিল। হঠাৎ বাইরে থেকে আচমকা এক নারী যাত্রীর কোলে রাখা হাতব্যাগ টান মেরে দৌড় দেন কাদের। এ সময় যাত্রীর চিৎকারে বাসের অন্য যাত্রী ও স্থানীয়রা দৌড়ে গিয়ে কাদের সরদারকে হাতেনাতে আটক করে পিটুনি দেন।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এজজা শফী বলেন, যাত্রীর হাতব্যাগে একটি মুঠোফোনসহ সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা ছিল। ছিনতাইয়ের শিকার যাত্রী ওই বাসেই ঢাকা চলে যাওয়ায় থানায় কোনো অভিযোগ করেননি। তবে আটক করে পিটুনির খবর পেয়ে কাদের সরদারকে আটক করে থানায় নিয়ে যান গোয়ালন্দ ঘাট থানার উপপরিদর্শক সনাতন সরকার। তাঁর দাবি, দণ্ডপ্রাপ্ত কাদের সরদার দৌলতদিয়া ঘাট এলাকার চিহ্নিত অপরাধী। তাঁর বিরুদ্ধে পাঁচটি মাদক ও ছিনতাই মামলা আছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী হাকিম আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, এর আগেও পুলিশ কাদের সরদারকে গ্রেপ্তার করলে পরিবারের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এবারও একই ধরনের অপরাধ করায় তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।