অটোরিকশায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

পাবনার সুজানগর উপজেলার একটি গ্রামে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। মেয়েটির মা দুজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। পুলিশ আজ সোমবার দুপুরে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়েছে।

অভিযুক্ত দুই ব্যক্তি হলেন চালক আল-আমিন (২৬) ও তাঁর সহযোগী জহুরুল ইসলাম (২৪)। এই দুজনকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

হাসপাতালে ওই মেয়ে ও তার স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোববার বেলা দুইটার দিকে মেয়েটি বোনের বাড়ি থেকে রিকশাভ্যানে করে বাড়ি ফিরছিল। পথিমধ্যে ভ্যানটি নষ্ট হয়ে গেলে চালক মেয়েটিকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে দেন। অটোরিকশাটিতে চালক ও সহযোগী ছাড়া আর কেউ ছিল না। কিছু দূর যাওয়ার পর তাঁরা অটোরিকশাটি একটি নির্জন বাগানে নিয়ে যান। সেখানে আল আমিন ও জহুরুল মেয়েটিকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজন মেয়েটিকে উদ্ধার করে বিকেলে বাড়ি পৌঁছে দেন। 


মেয়েটির মা জানান, রোববার বিকেলে অসুস্থ অবস্থায় মেয়েকে পেয়েছিলেন তিনি। তখন সে ভয়ে কাঁপছিল। পরে কিছুটা স্বাভাবিক হলে তিনি মেয়ের কাছ থেকে বিস্তারিত ঘটনা শুনে থানায় মামলা করেছেন।

ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক সাবেরা গুলরুখ প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিক পরীক্ষায় মেয়েটির ওপর নির্যাতনের আলামত মিলেছে। সেই অনুযায়ী প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, মেয়েটির কাছ থেকে ঘটনার বিস্তারিত শোনা হয়েছে। দুজন আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে। শিগগিরই আসামিদের গ্রেপ্তার করা যাবে।