সার কালোবাজারি: তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

দুদক
দুদক

সান্তাহার বাফার গুদামে প্রায় ১১ কোটি টাকার সার কালোবাজারির মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় অভিযোগপত্র দিচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ সোমবার এ অভিযোগপত্র অনুমোদন দিয়েছে সংস্থাটি।

দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য প্রথম আলোকে বলেন, ২০১৭ সালের ২ অক্টোবর করা ওই মামলায় ৩ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র অনুমোদন হয়েছে। শিগগিরই বগুড়ায় বিচারিক আদালতে এ অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হবে।

অভিযোগপত্রে আসামি করা হচ্ছে সান্তাহার বাফার গুদামের সাবেক দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ইনচার্জ) মো. নবীর উদ্দিন খান (সাবেক উপপ্রধান প্রকৌশলী, যান্ত্রিক), পরিবহন ঠিকাদার মেসার্স সাউথ ডেলটা শিপিং অ্যান্ড ট্রেডিং লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক মো. মশিউর রহমান খান ও বগুড়ার সান্তাহারের রাজা এন্টারপ্রাইজের মালিক রাশেদুল ইসলাম রাজা।

মামলা সূত্রে জানা যায়, দেশে কৃষকদের জন্য সার উৎপাদনের পাশাপাশি ঘাটতি পূরণে সার আমদানি করে থাকে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) । দেশের ২৪টি বাফার গুদামে এসব সার সংরক্ষণ করা হয়। আমদানি করা সার গুদাম পর্যন্ত পরিবহন করা হয় বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। সেখানেই অনিয়ম ঘটে।
২০১৫-১৬ অর্থবছরে সান্তাহার বাফার গুদামে পরিবহনের জন্য ১৫টি সরবরাহ চালানের বিপরীতে আমদানি করা ৮ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার গ্রহণ করেন পরিবহন ঠিকাদার আসামি মশিউর রহমান খানের প্রতিনিধি। গুদামের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নবীর উদ্দিন খান সরবরাহ চালানে সই করে তাঁর প্রাপ্তি স্বীকার করেন। এ বিষয়ে তিনি পরিবহন ঠিকাদারের অনুকূলে নিজ স্বাক্ষরে ট্রাক চালান, সরবরাহ চালান, এমআরআর ও এমআরআর ইস্যুর প্রত্যয়নপত্র (পাকা রসিদ) ইস্যু করেন।
দুদকের তদন্তে দেখা যায়, নবীর উদ্দিন খান ৪ হাজার ৩৩৮ দশমিক ৯৫ মেট্রিক টন সার সান্তাহার বাফার গুদামে হিসাবভুক্ত করেন। বাকি ৪ হাজার ১৬১ দশমিক শূন্য ৫ মেট্রিক টন সার গুদামের রেকর্ডপত্রের হিসাবভুক্ত না করেই সান্তাহার গুদামের সাবেক সহকারী হিসাব কর্মকর্তা মাসুদুর রহমানের সই জাল করে পরিবহন ঠিকাদার মশিউর রহমান খানের অনুকূলে প্রাপ্তি স্বীকার করেন। কিন্তু এই সার মশিউর রহমান খানের সঙ্গে যোগসাজশে আত্মসাৎ করেছেন।
এর মাধ্যমে সারের ভর্তুকি মূল্যসহ মোটর ১১ কোটি ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৪০১ টাকা আত্মসাৎ করেছেন আসামিরা।