নববর্ষে নতুন পোশাক না পেয়ে তিন ছাত্রীর আত্মহত্যা!

ঝুলন্ত লাশ। ছবিটি প্রতীকী
ঝুলন্ত লাশ। ছবিটি প্রতীকী

ঢাকায় সাভারের আশুলিয়া ও লালমনিরহাটে পৃথক ঘটনায় তিন স্কুলছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নববর্ষে নতুন পোশাক না পেয়ে অভিমানে তারা আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করছেন পরিবারের সদস্যরা।

ওই তিন ছাত্রী হলো লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার শাখাতি গ্রামের শিপন চন্দ্র রায়ের মেয়ে সৃষ্টি রানী রায় (১৩), সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের হুজুর আলীর মেয়ে শিউলি খাতুন (৯) ও পৌর এলাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কামিনী চন্দ্র বর্মণের মেয়ে কাজলী রানী রায় (১৫)। কাজলী তার মায়ের সঙ্গে সাভারের আশুলিয়ায় থাকত।

পুলিশের ভাষ্যমতে, ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী সৃষ্টি পয়লা বৈশাখে পরার জন্য একটি নতুন শাড়ির বায়না করেছিল। কিন্তু দরিদ্র পরিবার সৃষ্টির আবদার পূরণ করতে পারেনি। শাড়ি না পেয়ে অভিমানে রোববার রাতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মকবুল হোসেন বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লাশ উদ্ধার করে সোমবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা হয়েছে।

সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের হুজুর আলীর মেয়ে শিউলি। শিউলির মা রাজিয়া খাতুনের বরাত দিয়ে লালমনিরহাট সদর থানার ওসি মাহফুজ আলম জানান, বৈশাখের নতুন জামাকাপড় না পেয়ে মেয়েটি অভিমানে আত্মহত্যা করেছে। পয়লা বৈশাখের দিন নিজেদের ঘরে গলায় রশি দিয়ে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে শিউলি। পরিবারের সদস্যরা দরজা ভেঙে শিউলির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।

লালমনিরহাট পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবদুল আউয়াল বলেন, কাজলী মায়ের সঙ্গে সাভারের আশুলিয়ায় থাকত। রোববার সকালে কাজলীর মা বাজার করতে যান। এ সময় পয়লা বৈশাখের নতুন কাপড় না পাওয়ায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে কাজলী আত্মহত্যা করে। ঘটনা জানতে পেরে তিনি লালমনিরহাট থেকে আশুলিয়ায় যান। তাঁর উপস্থিতিতে লাশ নামানো হয়। তিনি বলেন, রাত ২টায় আশুলিয়া থানার একটি পিকআপ ভ্যানে কাজলীর লাশ বাড়িতে নেওয়া হয়। লাশ দাহ করা হয়েছে।