টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পোস্টমাস্টার সাময়িক বরখাস্ত

গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ডাকঘরের পোস্টমাস্টার মনোয়ারা বেগমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। মনোয়ারা বলছেন, ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।

উপজেলার চন্দ্রঘোনা-কদমতলী ইউনিয়নের পশ্চিম কদমতলী গ্রামের প্রবাসী মো. বেলালের স্ত্রী রূপা আকতার ১০ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম পূর্বাঞ্চলের পোস্টমাস্টারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। তদন্ত কমিটি প্রাথমিকভাবে টাকা আত্মসাৎ করার সত্যতা পেয়েছে।

গ্রাহক রূপা আকতার বলেন, ‘২০১৪ সালে ৩ লাখ টাকার মেয়াদি আমানত হিসাব খুলি। ২০১৮ সালে টাকা জমা দেওয়ার মূল রসিদটি মনোয়ারা বেগম নিয়ে নেন। রসিদটির একটি ফটোকপি স্বাক্ষর করে তিনি আমাকে দেন। আমার টাকার প্রয়োজন হওয়ায় হিসাব বন্ধ করতে চাইলে পোস্টমাস্টার প্রথমে বলেন, গ্রাহককে টাকা দিয়ে হিসাবটি বন্ধ করা হয়েছে। পরে তিনি আমাকে ফোন করে বলেন, তিন লাখ টাকা লাভ ছাড়া ফেরত দেওয়া হবে। আমি আসল ও লাভসহ টাকা দিতে বললে তিনি অপারগতা জানান। পরে আমি চট্টগ্রাম ডাক বিভাগে অভিযোগ দিই। অভিযোগের পর তদন্ত কমিটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পেয়ে পোস্টমাস্টার মনোয়ারা বেগমকে বরখাস্ত করে।’

রূপা আকতার আরও দাবি করেন, পোস্টমাস্টারের উপযুক্ত বিচার হওয়া উচিত। যাতে কোনো গ্রাহক হয়রানির শিকার না হন।

মনোয়ারা বেগম এসব অভিযোগ অস্বীকার করে মুঠোফোনে বলেন, ‘আমি কোনো টাকা আত্মসাৎ করিনি। অফিসের অন্য স্টাফরা আমাকে ফাঁসিয়েছে। সময় হলে সব সত্য বেরিয়ে আসবে।’

ডাকঘর চট্টগ্রাম পূর্বাঞ্চলের পোস্টমাস্টার জেনারেল আনন্দ মোহন দত্ত প্রথম আলোকে মুঠোফোনে বলেন, ‘তদন্ত কমিটি গ্রাহক রূপা আকতারের অভিযোগটি দ্রুত তদন্ত করে। প্রাথমিক সত্যতায় পোস্টমাস্টার মনোয়ারা বেগমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গ্রাহক যাতে হয়রানি না হয়, সে ব্যাপারে দৃষ্টি রাখছি।’