মতলবে দুই ছাত্রীর বাল্যবিবাহ বন্ধ, কাজিকে জরিমানা

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় গতকাল সোমবার দুই ছাত্রীর বাল্যবিবাহ বন্ধ করে কাজিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আক্তার।

ইউএনওর কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর (১৬) সঙ্গে মো. ইমাম হোসেন (২৩) নামের এক যুবকের বিয়ের আয়োজন চলছিল। ভুয়া বয়স দেখিয়ে কাজি বিয়ে নিবন্ধন করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। খবর পেয়ে ইউএনও ছাত্রীটির বাড়িতে যান এবং উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলে ওই বিয়ে বন্ধ করেন। বাল্যবিয়ে নিবন্ধনের চেষ্টার দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজি মো. সালাউদ্দিনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

ইউএনও কার্যালয় সূত্র আরও জানায়, গতকাল বিকেলে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী অপর এক ছাত্রীর (১৬) সঙ্গে মো. রাসেল (২২) নামের এক যুবকের বিয়ের আয়োজন চলছিল। গোপনে খবর পেয়ে ইউএনও ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করেন।

ইউএনও শারমিন আক্তার বলেন, বাল্যবিবাহ একটি সামাজিক অপরাধ। এর ফলে একটি মেয়ের লেখাপড়া ও ভবিষ্যৎ ধ্বংস হয়। মানসিক ও শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে কিশোরীরা। এসব কারণে তাঁর প্রশাসন বাল্যবিবাহ বন্ধে কঠোর ও অনড় অবস্থানে রয়েছে। যখনই কোথাও বাল্যবিবাহের খবর পান, তখনই ছুটে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করেন তিনি। এর অংশ হিসেবে গতকাল বিকেলে ওই দুই ছাত্রীর বাল্যবিবাহ বন্ধ করেন।

বিয়ে নিবন্ধনের চেষ্টার অভিযোগে ওই কাজিকে জরিমানা করেন শারমিন আক্তার। সামাজিক মর্যাদার কথা চিন্তা করে মেয়ে ও ছেলে পক্ষের কাউকে আটক করা হয়নি। তবে সাবালিকা হওয়ার আগে মেয়েকে আর বিয়ে দেবেন না মর্মে লিখিত অঙ্গীকারনামা আদায় করা হয় ওই দুই ছাত্রীর অভিভাবকের কাছ থেকে।